সংক্ষিপ্ত
ঘাম অথব শুষ্ক আবহাওয়া যাই হোক না কেন - শরীরের এই সময়টা প্রচুর জলের প্রয়োজন রয়েছে। শরীর জলশূন্য হয়ে গেলে একাধিক রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পায়।
বৈশাখ মাস এখনও পড়েনি। চৈত্রেরই জ্বালা ধরানো গরম। প্রবল এই গরমে বিপস্থ জনজীবন। ঘাম অথব শুষ্ক আবহাওয়া যাই হোক না কেন - শরীরের এই সময়টা প্রচুর জলের প্রয়োজন রয়েছে। শরীর জলশূন্য হয়ে গেলে একাধিক রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পায়। তাই এই প্রবল গরমে নিজে সুস্থ থাকতে আর পরিবারের সদস্যদের সুস্থ রাখতে এই খাবারগুলি অবশ্যই পাতে রাখুন। গরমের এই সময় সাধারণত প্রচুর সবজি আর মরশুমি ফল সুস্থ থাকার জন্য অপরিহার্য।
জল- গরমকালে সুস্থ থাকার জন্য প্রচুর জল খেতে হবে। প্রয়োজনে সরবতও খেতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে এই গরমে পূর্ণ মহিলাদের আড়াই থেকে তিন লিটার , পুরুষদের তিন থেকে সাড়ে তিন লিটার আর শিশুদের অবশ্যই দেড় লিটারের বেশি জল পানের প্রয়োজন রয়েছে। লেবু, ডাবের জলও খুব উপকারী।
সবজি
গরমকালে নিয়মিত পাতে রাখুন প্রচুর পরিমাণে সবজি আর শাক। এই সময় কাঁচা পেঁপে, ঝিঁঙে, লাউ, চিচিঙ্গা, পটল অবশ্যই খান। নানা ধরনের শাকও পাওয়া যায়- সেগুলিও উপকারী। প্রয়োজনে রান্নায় টমেটো ব্যবহার করতে পারেন। এটি গরমের জন্য উপকারী। গরমকালে সজনে ডাঁটা উপকারী।
ফল- এই সময় যেসব ফলগুলি পাওয়া যায় সেগুলি নিয়মিত খেতে পারেন। শসা, কাঁচা - পাকা আম, কলা। জামও পাওয়া যায় গরম কালে। প্রয়োজনে কাঁঠাল খেতেই পারেন। গরমকালে তরমুজও খেতে পারেন। এতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। শরীর ঠান্ডা করে।
সরবত- আখের রস থেকে শুরু করে লেবু, পুদিনাপাতা - বেল সবকিছুর সরবত গরমকালে খেতে পারেন। এটি শরীরে জলের ঘাটতি পুরণ করে। প্রয়োজনে গরমকালে নিয়মিত টক দই বা ঘোল খেতে পারেন। মিল্কশেকও উপকারী। রাতের বেলায় জিরে ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই জল লেবু দিয়ে খেতে পারেন।
যেগুলি খাবেন না-
গরমকালে ভুলেও তেলমশলা দেওয়া খাবার বেশি খাবেন না। এটি হজমে সহায়ক নয়। প্রচুর পরিমাণে কার্বনেট বেভারেজ এড়িয়ে চলুন। কোল্ডড্রিঙ্কস , আইসক্রিম খাবেন না। প্রচুর পরিমাণে মিষ্টি খাবেন না। বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন। এমনিতেই প্রবল গরমে হজমের সমস্যা দেখা দেয়। এই সময় পালতা ঝোল বা স্যুপ জাতীয় জিনিস খাওয়াই শ্রেয়। প্রয়োজনে সিদ্ধ খাওয়ারও মাঝেমধ্যে খেতে পারেন।