অনেকেই ঋতু বদলের এই সময় সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হন। নাক থেকে জল পড়তে দেখা যায়। চোখ ফোলা কিংবা গালের ত্বকে চুলকানিও দেখা যায়। দীর্ঘদিন ধরে যদি এই লক্ষণ গুলি চলতে থাকে তাহলে হয়ে যান সাবধান। হয়তো হতে পারে আপনার অ্যালার্জেটিক রাইনাইটিস।
ঋতু পরিবর্তনের সময় হাঁচি-কাশি এবং নাক দিয়ে জল পড়ার মতো সমস্যা অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের লক্ষণ হতে পারে। যা ধুলো, ধোঁয়া বা পরাগরেণুর মতো অ্যালার্জেনের সংস্পর্শে এলে বেড়ে যায়। এটি একটি সাধারণ সমস্যা, তবে এর থেকে মুক্তি পেতে হলে সঠিক কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা ও ঘরোয়া প্রতিকার অনুসরণ করা উচিত।
শীতকালে অ্যালার্জি বাড়ে। ত্বকের অ্যালার্জি সহজেই চিনে নেওয়া সহজ। তবে শ্বাসনালি, খাদ্যনালি কিংবা চোখের মতো স্পর্শকাতর জায়গায় অ্যালার্জি দেখা দিলে তা সময় বিশেষে মারাত্মক আকার নিতে পারে। অ্যালার্জিক রাইনাইটিস তেমন ধরনেরই এক রোগ। এতে নাকের প্রদাহ বাড়ে। অ্যালার্জেন, যেমন পরাগ বা ধূলিকণার কারণে এটি হয়। ফলে নাক বন্ধ হয়ে যায়, জল পড়ে এবং সমানে হাঁচি হতে থাকে। চোখে চুলকানিও দেখা দেয়। প্রথমে ততটা সমস্যা না হলেও সময়মতো চিকিৎসা না করালে বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা।
* অ্যালার্জিক রাইনাইটিস কী:
লক্ষণ: * একটানা হাঁচি * অনবরত নাক দিয়ে জল পড়া * কখনও কখনও চোখ দিয়ে জল পড়া বা চুলকানো * খুসখুসে কাশি * ক্লান্তি অনুভব করা
কারণ:
* ঋতু পরিবর্তন: এটি ঋতু পরিবর্তনের সময় বেশি দেখা যায়, কারণ বাতাসে পরাগরেণুর পরিমাণ বেড়ে যায়।
* অ্যালার্জেন: ধুলো, ছাঁচ, পশুর লোম, ধোঁয়া এবং অন্যান্য কিছু রাসায়নিকের মতো অ্যালার্জেন থেকে এই সমস্যা হতে পারে।
করণীয়:
* অ্যান্টিবায়োটিক এড়িয়ে চলুন: অ্যালার্জিক রাইনাইটিস একটি অ্যালার্জির সমস্যা, যা ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয় না। তাই অ্যান্টিবায়োটিক খেলে সাময়িকভাবে হয়তো কমতে পারে, কিন্তু এটি মূল সমস্যার সমাধান করে না।
* অ্যালার্জেন থেকে দূরে থাকুন:
ঘরের বাইরে যাওয়ার সময় মাস্ক পরুন। ঘরের মধ্যে ধুলো-ধোঁয়া এড়িয়ে চলুন। ঘরের ভেতরটা ঠান্ডা এবং কম আর্দ্র রাখুন।
ডাক্তারের পরামর্শ নিন: যদি সমস্যা বেশি হয়, তাহলে একজন অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন। তিনি সঠিক কারণ নির্ণয় করে উপযুক্ত চিকিৎসা দেবেন।
মনে রাখবেন: হাঁচি বা কাশির মতো সাধারণ লক্ষণগুলো অবহেলা না করে, কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। অ্যালার্জিক রাইনাইটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হতে পারে, তবে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
