সংক্ষিপ্ত
চিনি ছাড়া খাওয়ার যদি টানা ৩০ দিন খেতে পারেন তাহলে এই উপকারগুলি অবশ্যই পাবেন। সামনেই পুজো- তাই এখনই চিনি ছাড়া ডায়েটের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আরও সুন্দর হয়ে উঠুন।
চিনি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকর। বর্তমানে চিনিকে সাদা বিষ বা হোয়াইট পয়েজন বলা হয়। চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার অত্যাধিক খেলে দাঁতের
ক্ষতি হয়। ওজন বাড়তে পারে। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে ন্যাশানাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনে প্রকাশিক একটি সমীক্ষা অনুসারে অত্যাধিক চিনি খাওয়া মোটা হওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে চিনিতে হজমের সমস্যা তৈরি হয়। কার্ডিও ভাসকুলার রোগ হয়। কেক , পেস্ট্রি, ব্রাউনি, আইসক্রিম, ডোনাট না খাওয়াই শ্রেয়। কারণ এগুলিতে চিনির মাত্রা অত্যাধিক থাকে। পাশাপাশি সফ্টড্রিংস স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। চা বা অন্যান্য পাণীয় চিনি ছাড়া খাওয়া শ্রেয়। চিনি ছাড়া খাওয়ার যদি টানা ৩০ দিন খেতে পারেন তাহলে এই উপকারগুলি অবশ্যই পাবেন। সামনেই পুজো- তাই এখনই চিনি ছাড়া ডায়েটের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আরও সুন্দর হয়ে উঠুন।
১. ওজন হ্রাস
মাসে যদি একবারও চিনি না খান তাহলে ওজন কমতে বাধ্য। ক্যালরি দূর করে। অতিরিক্ত খাওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
২. রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক থাকে
টানা ৩০ দিন চিনি ছাড়া খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল থাকে।
৩. এর্জানি স্থির থাকে
রক্তে শর্কার স্পাইক ও ক্র্যাশ ছাড়া সারাদিকে শক্তির মাত্রা আরও স্থিতিশীল হতে থাকে।
৪. দাঁতের স্বাস্থ্য
চিনি এড়িয়ে চললে দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। মাড়ির রোগের সমস্যা দূর হয়।
৫. দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমায়
চিনি খাওয়ার ছেড়ে দিলে হৃদরোগের মত দীর্ঘস্থায়ী রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।
৬. পরিষ্কার ত্বক
চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিলে ব্রণ বা ত্বকের সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়। শরীরে ঘা সারতে চিনি বাধা তৈরি করে।
৭. মেজাজ ও মানসিক স্থিরতা
স্থিতিশীল রক্তে শর্করার মাত্রা ইতিবাচকভাবে মেজাজকে প্রভাবিত করতে পারে, মেজাজের পরিবর্তন কমাতে পারে এবং মানসিক স্বচ্ছতা উন্নত করতে পারে।
৮. অন্ত্রের সমস্যা
প্রচুর পরিমাণে চিনি খেলে ব্যাকটেরিয়া ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। যা অন্ত্রের সমস্যা তৈরি করে। চিনি খাওয়া ৩০ দিনের জন্য বন্ধ করে দিতে অন্ত্রের সমস্যা সমাধান করে।
৩০ দিন খাবার থেকে চিনি সরিয়ে দেওয়ার টিপসঃ
আম, আনারস, স্ট্রবেরির নত কিছু ফল রয়েছে যেগুলি প্রবল মিষ্টি সেই ফলগুলি চিনি বিহীন ডায়েটের সময়ই অল্প পরিমাণে খেতে পারে। তবে চা-কফি বা অন্য যে কোনও পাণীয়তে চিনির ব্যবহার করবেন না। চাইলে স্বল্প পরিমাণে গুড়ের ব্যবহার করতে পারেন। খাবারে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন, খণিজ , ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রাখুন। তাতে উপকার পারেন। রান্না করা খাবারেও চিনির ব্যবহার করবেন না। চিনি ছাড়া ডায়েটে কিন্তু মিষ্টি, মিষ্টি দই, বা চাটনি খাওয়া একদম বারন। তাহলে কোনও উপকার পাবেন না। এই সময় আইসক্রিম বা ক্লোডড্রিংকসকে না বলে দিন।