- Home
- Lifestyle
- Health
- শিশুদের দুধে মিশিয়ে দিন এই উপাদানগুলি, কয়েক সপ্তাহে বেড়ে যাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
শিশুদের দুধে মিশিয়ে দিন এই উপাদানগুলি, কয়েক সপ্তাহে বেড়ে যাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
শিশুদের দুধের জন্য প্রাকৃতিক উপাদান : সন্তানের সুস্বাস্থ্য প্রতিটি বাবা-মায়ের কাম্য। কীভাবে তাদের দুধ খাওয়ানো উচিত, তা জেনে নিন।
| Published : Nov 08 2024, 06:11 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
শিশুদের দাঁত এবং হাড় মজবুত করার জন্য ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন। এর জন্য প্রতিদিন তাদের দুধ খাওয়ানো যেতে পারে। তবে শুধু দুধ খাওয়ানোর পরিবর্তে, কিছু স্বাস্থ্যকর উপাদান মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে। এতে শিশুদের দাঁত, হাড়ের পাশাপাশি সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে।
কিশোর-কিশোরীদের সুষম খাবার দেওয়া জরুরি। অর্থাৎ, সব ধরনের পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার দেওয়া উচিত। শিশুদের কৃত্রিম পুষ্টির পানীয় দেওয়ার চেয়ে রাসায়নিকমুক্ত পানীয় দেওয়াই ভালো। দুধ এর একটি ভালো উদাহরণ।
এভাবে খাওয়ালে শিশুরা সুস্থ থাকবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। তবে শুধু দুধ খাওয়ানোর পরিবর্তে, হলুদ, তুলসী, বাদাম গুঁড়ো ইত্যাদি কোনও একটি উপাদান মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে। এভাবে খাওয়ালে তাদের কী কী স্বাস্থ্য উপকার পাওয়া যায়, তা এই পোস্টে দেখুন।
শীত এবং বর্ষাকালে শিশুদের সংক্রামক রোগ সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। এ থেকে তাদের রক্ষা করার জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকা দরকার। দুধে কিছু বিশেষ খাবার মিশিয়ে খাওয়ালে তাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
হলুদ:
দুধে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে খাওয়ানো অনেক বাড়িতেই রীতি। শিশুদেরও এভাবে দুধে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ালে ভালো ফল পাওয়া যায়। দুধ খাওয়ার চেয়ে হলুদ মেশালে স্বাদ বদলে যায়। বাড়ন্ত শিশুদের জন্য এটি কিছু পুষ্টিও যোগায়। হলুদ শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে থাকা অ্যান্টি-অ্যালার্জিক উপাদান শিশুদের জন্য অপরিহার্য। হলুদে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। ছোটবেলায় হাঁপানি, শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত শিশুদের জন্য হলুদ উপকারী।
আদা:
দুধে হলুদ মেশানোর মতো আদাও উপকারী বলে মনে করা হয়। আদায় বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর আদার ভালো প্রভাব রয়েছে। আদা দিয়ে দুধ ফোটানোর চেয়ে আদা গুঁড়ো মেশালে ভালো স্বাদ পাওয়া যায়। এটি শিশুদের গ্যাসের সমস্যা থেকে রক্ষা করে। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। আদায় থাকা প্রদাহরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান সর্দি, কাশি সারাতে অনেক সাহায্য করে। শুকনো আদায় ঝাল বেশি থাকে তাই শিশুদের খাওয়ালে সাবধান থাকুন।
দুধের সাথে তুলসী পাতা মিশিয়ে শিশুদের খাওয়ানো যেতে পারে। এতে দুধের গুণমান বৃদ্ধি পায়। তুলসীতে থাকা ঔষধি গুণ শিশুদের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। তুলসী পাতা দুধে ফুটিয়ে খাওয়ালে কাশি, সর্দি, জ্বরের সমস্যা কমে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা কমাতে এবং প্রতিরোধ করতে তুলসী-দুধ সাহায্য করে।
বাদাম গুঁড়ো:
বাদামে প্রচুর পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এটি দুধে মেশালে স্বাদও বাড়ায়। শিশুদের পুষ্টির জন্য বাদাম মেশানো দুধ একটি ভালো বিকল্প। এতে থাকা ভিটামিন শিশুদের ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। বাদাম শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি তাদের বুদ্ধিমত্তাও বৃদ্ধি করে। বাড়িতে বাদাম গুঁড়ো তৈরি করে দুধে মিশিয়ে শিশুদের খাওয়ালে তারা পছন্দ করে খাবে। সুস্থও থাকবে।