- Home
- Lifestyle
- Health
- শীতের দিনগুলিতে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পাতে রাখুন এই খাবারগুলি, জানুন এক ক্লিকে
শীতের দিনগুলিতে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পাতে রাখুন এই খাবারগুলি, জানুন এক ক্লিকে
Winter Health Care: পড়ে গিয়েছে শীতকাল। ক্যালেন্ডারের হিসেব বলছে বাংলা এখন পৌষ মাস চলছে। আর পৌষ-মাঘ মানেই জাঁকিয়ে ঠান্ডার সময়। এই সময়ে শরীর স্বাস্থ্যকে ভিতর থেকে কীভাবে ভালো রাখবেন? জানুন ঘরোয়া কিছু উপায়। যেগুলি অনুসরণ করলে শরীর থাকবে চনমনে।

বিট অথবা বিটের জুস
শীতকাল মানেই নানারকম মরশুমি সবজির পসরা। এই সময়ে বাজারে সবথেকে যে সবজিটি পাওয়া যায় তা হলো বিট। লাল-লাল এই শালগম খেতে যেমন ভালো তেমনই এর স্বাস্থ্যগুণও রয়েছে প্রচুর। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষা, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি, ওজন কমানো, হজমশক্তি উন্নত করা, অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। কারণ এতে রয়েছে- নাইট্রেট, ফাইবার, পটাসিয়াম, ফোলেট, ভিটামিন সি ও অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা শরীর যেমন ভালো রাখে তেমনই ত্বকের যত্নেও উপকারি। শরীরে রক্তপ্রবাহ বাড়াতে সাহায্য করে এই সবজি।
আমলকি
ভিটামিন সি-তে ভরপুর আমলকি শীতকালে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও আমলকির ভিতরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হজমশক্তিকে উন্নত করে। ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। রক্ত শুদ্ধ করে এবং হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখে, মানসিক চাপ কমায় এবং আয়রন শোষণে সাহায্য করে, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্য ও তারুণ্য বজায় রাখতে অপরিহার্য। ফলে শীতের সময়ে নিয়মিত একটা করে আমলকি খেতে পারলে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা মেলে।
হলুদ দুধ
শীতকালে এই হলুদ দুধ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, প্রদাহ কমায়। হজমশক্তি উন্নত করে। ত্বক উজ্জ্বল করে এবং ভালো ঘুম আনতে সাহায্য করে। কারণ, এতে থাকা কারকিউমিন অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা শরীরকে শিথিল করে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করে। এটি সর্দি-কাশি, জয়েন্টের ব্যথা ও সামগ্রিক সুস্থতার জন্য একটি চমৎকার প্রাকৃতিক প্রতিকার।
কিসমিস ভেজানো জল
কিসমিস ভেজানো জল পান করলে হজমশক্তি বাড়ে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এছাড়াও শরীর ডিটক্স হয়, ত্বক উজ্জ্বল হয়। শক্তি বাড়ে এবং রক্তাল্পতা প্রতিরোধে সাহায্য করে। কারণ এতে থাকা ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আয়রন, পটাসিয়াম ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকে যা ভিজিয়ে রাখলে শরীরে দ্রুত শোষিত হয়। এটি লিভার পরিষ্কার রাখতে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও উপকারি। বিশেষ করে সকালে খালি পেটে খেলে এর উপকারিতা বেশি পাওয়া যায়।
গাজরের জুস
গাজরের জুস চোখ, ত্বক, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, লিভার, হার্ট ও হজমের জন্য উপকারি। কারণ এতে প্রচুর ভিটামিন এ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম ও মিনারেলস থাকে। যা দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়, ত্বক উজ্জ্বল করে। ইমিউনিটি শক্তিশালী করে। শরীরকে ডিটক্স করতে এবং রক্তচাপ ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি ওজন কমাতেও সহায়ক এবং শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। ফলে শীতের দিনে নিয়মিত গাজরের রস পান করতে পারলে অনেক উপকার মেলে।

