Eye problems: Uveitis বা চোখের বাত তুলনামূলকভাবে একটি বিরল অসুখ। তাই লক্ষণ ও নিরাময় না জানলে যথেষ্ট সচেতন হবেন না মানুষজন। তাই বিস্তারিত জানালেন বিশেষজ্ঞ ডাঃ অনিন্দ্য কিশোর মজুমদার।
Uveitis: চোখ আমাদের দেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এই চোখে যদি বাত দেখা যায়, চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় যাকে ইউভাইটিস (Uveitis) বলা হয়। শুনতে অবাক লাগলেও ইউভাইটিস যথেষ্ট কঠিন রোগ। তবে সচেতন থাকলে নিয়ন্ত্রণযোগ্য। আর চোখের বিষয়ে সামান্য সমস্যা হলেও অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চোখের মধ্যবর্তী স্তর ইউভিয়া (Uvea)—যার মধ্যে রয়েছে আইরিস, সিলিয়ারি বডি ও কোরয়েড—এই অংশে যখন প্রদাহ সৃষ্টি হয়, তখন তাকে ইউভাইটিস বলা হয়। এটি দুই চোখেই হতে পারে। এই সমস্যা দ্রুত মিটিয়ে নেওয়ার জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করা উচিত।
ইউভাইটিসের কারণ?
সাধারণত আর্থ্রাইটিস বা টিবি হলে চোখে বাত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আবার সম্পূর্ণ আলাদাভাবেও হতে পারে। চোখের সুরক্ষা বলয়ে ত্রুটি বা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলেও এই রোগ হতে পারে। এছাড়াও চোখে হঠাৎ জোরে কোনও আঘাত বা অস্ত্রোপচারের পর ইউভিআইটিস হতে পারে। জিনগত কারণও এর জন্য দায়ী হতে পারে।
ইউভিআইটিসের লক্ষণ-
- চোখ লাল ও ফলাভাব
- ব্যথা বা জ্বালা অনুভব করা, জল পড়া
- আলোতে চোখে যন্ত্রণা (photophobia)
- চোখে ঝাপসা দেখা
- চোখে সাদা দাগ বা ভাসমান ছোপ দেখা (floaters)
এই রোগ হওয়ার প্রবণতা বেশি কাদের?
মূলত ২৪-৪০ বছরের মধ্যে চোখের বাত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। বয়স্কদের এতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম। উল্লেখ্য, পাঁচ বছরের নীচে বা ষাটোর্ধ্ব কারও চোখে বাত দেখা দিলে সচেতন হওয়ার জরুরি। কারণ এটি ক্যান্সারের মতো কোনও মারণব্যাধির ইঙ্গিত হতে পারে।
নিরাময়ের উপায়
ইউভাইটিস বা চোখের বাত নিরাময়ে প্রথমে রোগীর সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। কতদিন ধরে কী কী সমস্যা হচ্ছে, শরীরে অন্য কোথাও বাত বা টিবি হয়েছিল কিনা, পরিবারে এর আগে অন্য কারোর এই সমস্যা ছিল কিনা ইত্যাদি। এরপর ক্লিনিক্যালি টেস্ট করে দেখে নিতে হবে কী কী সমস্যা হচ্ছে চোখে, যার জন্য ভিশন টেস্ট, আই প্রেসার মেজারেমন্ট, রেটিনাল টেস্ট একগেড়াও আরও অনেক টেস্ট আছে যা চিকিৎসকেরা পারামর্শ দিয়ে থাকেন। এবার জানতে হবে চোখে বাতের অবস্থান কোথায়? অর্থাৎ চোখের সামনের অংশ, মাঝের অংশ, পিছনের অংশে নাকি পুরো চোখ জুড়ে ইউভাইটিস হয়েছে। এইসব বিষয় জানা হলে তবুই শুরু হবে মেডিকেশন বা মূল চিকিৎসা। চোখের সামনের অংশে বাত হলে স্টেরয়েড ড্রপ সহ চোখের জন্য ব্যবহৃত সাধারণ কিছু ড্রপ দেওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তারেরা। চোখের মাঝের অংশে বাত হলে ড্রপ এবং ইঞ্জেকশন দুটোই দিতে হয়। পিছনের অংশে বা পুরো চোখজুড়ে বাত হলে, ড্রপে কাজ হয় না। নির্দিষ্ট ওষুধ দেন ডাক্তারেরা। সাথে প্রয়োজনে মেডিসিন স্পেশালিস্টদের পরামর্শও নিতে হয়।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


