Health Tips: বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হরমোনের পরিবর্তন এবং তার প্রভাব শুধু যে মহিলারাই উপলব্ধি করতে পারেন তা নয়, পুরুষদের শরীরেও এই একই বিষয় লক্ষ্য করা যায়। অর্থাৎ পুরুষদের জীবনেও আসে রজোনিবৃত্তির মতো সময়।
Health Tips: পুরুষদের অ্যান্ড্রোপজ এবং মহিলাদের মেনোপজ এক নয়! কারণ মেনোপজে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা দ্রুত কমে যায়, যেখানে অ্যান্ড্রোপজে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা ধীরে ধীরে এবং দীর্ঘ সময় ধরে কমে। অ্যান্ড্রোপজের প্রধান লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে যৌন ইচ্ছার হ্রাস, ক্লান্তি, পেশী ভরের হ্রাস, এবং মেজাজের পরিবর্তন। এই লক্ষণগুলি দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত!বিশেষ করে যদি এর সাথে পেশীর দুর্বলতা, হতাশা বা স্মৃতিশক্তির সমস্যা যুক্ত হয়।
* মহিলাদের থেকে কতটা আলাদা জেনে নিন :
মেনোপজের মতো অ্যান্ড্রোপজ শুধু বয়স বাড়ার উপরেই নির্ভর করে না। মহিলাদের যেমন নির্দষ্ট বয়সের পর ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে গেলে মেনোপজ হয়েছে বলে ধরা হয়। পুরুষদের ক্ষেত্রে কিন্তু তা নয়। ৩০ বছরের পর থেকে প্রতি বছর পুরুষদের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমতে শুরু করে। অ্যান্ড্রোপজের ধীর গতিতে হয়। ডিম্বাশয় পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়লেও শুক্রাশয় সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় হয় না। অল্প মাত্রায় হলেও টেস্টোস্টেরন তৈরি হয়। অনেকের ৪০-৫০ বছরে শুক্রাণুর পরিমাণ কমে যায়, সঙ্গমের অনীহা দেখা যায়। আবার কেউ সুস্থ শরীরে ৭০ বছরেও বাবা হতে পারেন। তাই বিষয়টা সকলের জন্য এক রকম নয়। অর্থাৎ কার কখন অ্যান্ড্রোপজ হচ্ছে তা নির্দিষ্ট করে দিনক্ষণ বলা যায় না।
* অ্যান্ড্রোপজের লক্ষণ এবং কখন সতর্ক হবেন:
* যৌন ইচ্ছা হ্রাস: যৌন মিলনের প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়া বা ইরেকটাইল ডিসফাংশনের মতো সমস্যা দেখা দেওয়া।
* ক্লান্তি এবং কম শক্তি: দিনের বেলায় অতিরিক্ত ক্লান্তি এবং শারীরিক শক্তি কমে যাওয়া।
* পেশী ভরের হ্রাস: পেশী শক্তি এবং পরিমাণ কমে যাওয়া।
* মেজাজের পরিবর্তন: খিটখিটে মেজাজ, হতাশা বা বিষণ্ণতা।
* স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা: মনোযোগ দিতে বা কিছু মনে রাখতে অসুবিধা হওয়া।
* শরীরের চর্বি বৃদ্ধি: শরীরের চর্বি, বিশেষ করে পেটের চারপাশে, বৃদ্ধি পাওয়া।
* ঘুমের ব্যাঘাত: ঘুমের ধরণে পরিবর্তন বা অনিদ্রা।
ডাঃ রুনা বল-এর পরামর্শ অনুযায়ী:
অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন : অ্যান্ড্রোপজের লক্ষণগুলি দেখা দিলে দ্রুত একজন বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা উচিত। যেমন: ক্লান্তি, পেশীর দুর্বলতা, বা হতাশা।
হরমোন পরীক্ষা: হরমোনের মাত্রা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, পুরুষদের জীবনে এই পরিবর্তন একটি স্বাভাবিক বার্ধক্যজনিত প্রক্রিয়া, নাকি অন্য কোনো স্বাস্থ্যগত কারণে ঘটছে।
জীবনযাত্রার পরিবর্তন: স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, নিয়মিত ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা।
মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন: মানসিক চাপ বা হতাশা দেখা দিলে, মনোবিদের সাহায্য নেওয়া উচিত।
ডাক্তারের পরামর্শে চিকিৎসা: হরমোন থেরাপির মতো চিকিৎসা বিকল্পগুলির বিষয়ে ডাক্তারের সাথে আলোচনা করা উচিত।
সতর্কতা: অ্যান্ড্রোপজ একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হলেও, এর সাথে যুক্ত কিছু লক্ষণ যেমন পেশী দুর্বলতা, মেজাজের চরম পরিবর্তন বা স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা যদি আপনার জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

