সংক্ষিপ্ত
প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুরা রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। যদি শিশুদের মধ্যে প্লেটলেটের সংখ্যা কমতে শুরু করে, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
আপনি প্রায়শই শুনেছেন যে ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়া বাড়লে প্লেটলেটের সংখ্যা দ্রুত কমতে শুরু করে। যদি প্লেটলেট কাউন্ট নিয়ন্ত্রণ না করা হয় এবং এটি ক্রমাগত কমতে থাকে, তাহলে পরিস্থিতি মারাত্মক হতে পারে। যাইহোক, আপনি কি জানেন যে ডেঙ্গু-জ্বর, ভিটামিন বি-এর অভাব, লিউকেমিয়া এবং অ্যানিমিয়াও প্লেটলেটের মাত্রা কমাতে পারে। একে এভাবে প্লাজমাও বলা হয়। শরীরে প্লেটলেটের মাত্রা কমে গেলে দুর্বলতা বা হাঁটুতে ব্যথাসহ অন্যান্য সমস্যাও দেখা দেয়। শিশুদের প্লেটলেট গণনা কি হওয়া উচিত? আসুন আমরা আপনাকে বলি।
শিশুদের মধ্যে প্লেটলেট কাউন্ট এত বেশি হওয়া উচিত
প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুরা রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। যদি শিশুদের মধ্যে প্লেটলেটের সংখ্যা কমতে শুরু করে, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি মাইক্রো লিটার রক্তে আমাদের শরীরে প্লেটলেটের সংখ্যা ১.৫ লাখ থেকে ৪.৫ লাখ। যদি এটি ১.৫ লক্ষের কম হয় তবে অবিলম্বে চিকিত্সা করা উচিত। এ ছাড়া ৫০ হাজারের নিচের মাত্রা শরীরের জন্য খুবই মারাত্মক অবস্থা হয়ে দাঁড়ায়। বৃদ্ধ বা শিশু, কারও শরীরে প্লেটলেটের সংখ্যা যেন দেড় লাখের নিচে না যায়।
প্লেট গণনা পতনের লক্ষণ
শরীরে প্লেটলেটের পরিমাণ কম থাকলে জয়েন্টে ব্যথা, মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, ত্বকে কালো ভাবের মতো উপসর্গ দেখা দেয়।
প্লেটলেট কাউন্ট কম হলে এই কাজগুলো করুন
যদি কারো প্লেটলেট কাউন্ট কমে যায়, তবে এই অবস্থায় অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। যাইহোক, ভারতের লোকেরাও এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে দেশীয় পদ্ধতির চেষ্টা করে। অনেকেই পেঁপে ও এর পাতার রস পান করেন। যাইহোক, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কিউই এবং লেবু খাওয়াও এতে উপকারী বলে মনে করা হয়।
ভারতে বহু শতাব্দী ধরে রক্ত বৃদ্ধিতে ডালিম ব্যবহার হয়ে আসছে। ডালিমের মধ্যে রয়েছে এমন অনেক পুষ্টি উপাদান যা শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়। ডালিম বিষন্নতা ও ক্লান্তি দূর করে। ডালিমে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে, যা হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর পাশাপাশি প্লেটলেট বাড়ায়।
ডেঙ্গু জ্বরে শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম হয় যার ফলে জলশূন্যতা শুরু হয়। তাই ডাবের জল পান করা খুবই উপকারী। এতে ইলেক্ট্রোলাইট এবং প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান রয়েছে যা শরীরে শক্তি যোগায়। নারকেল জলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। প্রতিদিন নারকেল জল খেলে শরীর থেকে অনেক ধরনের টক্সিন বেরিয়ে যায়। নারকেল জল পান করলে হার্ট সুস্থ থাকে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।