৫০ পেরোলেই নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিন অবশ্যই দিতে হবে। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ পঞ্চাশের পরে প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যেই শারীরিক দুর্বলতা আসে যার ফলে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমে যায়।
৫০ পেরোলেই নিউমোনিয়ার টিকা নেওয়া দরকার কারণ বয়স বাড়ার সাথে সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কমে যায়। শরীর দুর্বল হয় এবং নিউমোকক্কাল ব্যাকটেরিয়া (Streptococcus pneumoniae) দ্বারা সৃষ্ট মারাত্মক নিউমোনিয়া, মেনিনজাইটিস ও রক্তে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। তাই আমেরিকান ফুসফুস অ্যাসোসিয়েশন ও CDC (রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র) ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সীদের জন্য এই টিকার সুপারিশ করেছে, যা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
* ফুসফুস বিশেষজ্ঞরা কেন এই সুপারিশ করছেন:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস: ৫০ পেরোলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিকভাবেই দুর্বল হতে শুরু করে, ফলে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা কমে যায়।
গুরুতর জটিলতার ঝুঁকি: নিউমোকক্কাল ব্যাকটেরিয়া ফুসফুসে নিউমোনিয়া, মস্তিষ্কে মেনিনজাইটিস এবং রক্তে সেপসিস (রক্তে সংক্রমণ) ঘটাতে পারে, যা বয়স্কদের জন্য প্রাণঘাতী হতে পারে।
উন্নত টিকার প্রাপ্যতা: PCV20 (পিসিভি২০) এর মতো নতুন টিকাগুলো এখন অনেক বেশি স্ট্রেন থেকে সুরক্ষা দেয়, যা পূর্ববর্তী টিকার চেয়ে উন্নত।
শীতকালে ঝুঁকি বৃদ্ধি: শীতকালে ফ্লু ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ বাড়ে, তাই এই সময়ে টিকা নেওয়া আরও বেশি প্রয়োজনীয়।
গুরুত্বপূর্ণ: কারা এই টিকা নেবেন (CDC সুপারিশ অনুযায়ী): ৫০ বা তার বেশি বয়সী সকল প্রাপ্তবয়স্ক। নতুন সুপারিশ অনুযায়ী, ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সী সকলকেই এই টিকা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকলে ১৯ থেকে ৬৪ বছর বয়সী যাদের ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ফুসফুসের রোগ বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদেরও এই টিকা নেওয়া উচিত।
মূল কথা: টিকা নিলে শরীর এই ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করে সুরক্ষা দিতে পারে এবং নিউমোনিয়ার মতো গুরুতর অসুস্থতা প্রতিরোধ করে জীবন বাঁচানো সম্ভব। তাই, ৫০ বছর হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং নিউমোকক্কাল টিকা (যেমন PCV20) নেওয়ার কথা ভাবুন।


