সংক্ষিপ্ত
খাবার খাওয়ার আগে যেমন হাত ধুয়ে খাবার খান, তেমনি প্রতি সপ্তাহে বিছানার চাদর বদলাতে হবে কারণ টানা কয়েকদিন একই চাদরে ঘুমালেও চাদরের মাধ্যমে শরীরে ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে আসে। জেনে নিন কখন এবং কত দিন পর পর আপনার বেডশীট পরিবর্তন করা উচিত।
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা কয় দিনে চাদর পরিবর্তন করতে হবে সেদিকে মনোযোগ দেন না। বিছানার চাদর পরিবর্তন করতে খুব কমই দেখা যায়, এটি ৫ থেকে ৮ মিনিট সময় নেয়। আসুন আমরা আপনাকে বলি যে আপনার এই অসাবধান অভ্যাসটি আপনার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন উপায়ে ক্ষতি করতে পারে।
হ্যাঁ, খাবার খাওয়ার আগে যেমন হাত ধুয়ে খাবার খান, তেমনি প্রতি সপ্তাহে বিছানার চাদর বদলাতে হবে কারণ টানা কয়েকদিন একই চাদরে ঘুমালেও চাদরের মাধ্যমে শরীরে ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে আসে। যার কারণে অ্যালার্জি, হাঁপানি, চুল ভেঙে যাওয়া, মুখে ব্রণ বা অন্যান্য রোগের সমস্যা হতে পারে। তো চলুন আজকে জানাই চাদর না বদলানোর কারণে আপনাকে কী কী সমস্যায় পড়তে হতে পারে, সেই সঙ্গে আপনিও জানতে পারবেন কখন এবং কত দিন পর পর আপনার বেডশীট পরিবর্তন করা উচিত।
নোংরা চাদরে জীবাণু জন্মায়
আপনাকে বলে রাখি এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চাদর না বদলানোর কারণে তাদের মধ্যে জীবাণু জন্মানোর সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। অতএব, প্রতি সপ্তাহে শীট পরিবর্তন করুন।
জেনে নিন কত মানুষ কত দিনে শীট পরিবর্তন
করেন, এক সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে ২৮ শতাংশ মানুষ এক সপ্তাহে শীট পরিবর্তন করেন। যেখানে ৪০ শতাংশ মানুষ মাত্র ১৫ দিন পর শীট পরিবর্তন করে। একই সময়ে, ২৪ শতাংশ পর্যন্ত মানুষ ৩ সপ্তাহে একবার শীট পরিবর্তন করে। আরও কী, বাকি ৪ শতাংশ মানুষ মাসে একবার শীট পরিবর্তন করার দিকে মনোযোগ দেয়।
আরও পড়ুন- কিভাবে দ্রুত উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করবেন, জেনে রাখুন এই উপায়গুলো
আরও পড়ুন- আয়ুর্বেদিক উপায়ে হাঁটুর চিকিত্সা করাচ্ছেন ধোনি, এই ভাবে জয়েন্ট পেইন থেকে মুক্তি পাবেন
আরও পড়ুন- অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে বেশিক্ষণ খাবার রাখবেন না, জেনে নিন কী কী ক্ষতি হতে পারে শরীরের
বিছানার চাদর অসুস্থতার কারণ হতে পারে
নোংরা বিছানার চাদরও আমাদের অসুস্থতার কারণ হতে পারে। আমাদের শরীরের ঘাম, শরীরের তরল যেমন লালা, তেল, প্রস্রাব এবং যৌন তরলও বিছানার চাদরে পড়ে। এমন অবস্থায় এই জিনিসগুলি নিয়ে দীর্ঘক্ষণ ঘুমালে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই সময় মত বিছানার চাদর বদলান। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে মন ও শরীর দুই ভালো থাকে। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।