সংক্ষিপ্ত

  • জলপাইতে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে
  • অলিভ অয়েল খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও অনেকটাই কমে যায়
  • জলপাই-এ ভিটামিন সি থাকায় ত্বকের জন্যও খুব উপকারী
  • ভিটামিন-ই থাকার ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকিও অনেকাংশে কমে
     

জলপাই একটি সুপরিচিত একটি ফল। দীর্ঘদিন ধরে এই জলপাই নানান ভাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। শীতকাল এলেই জলপাই অনেক বেশি পাওয়া যায়। অনেকেই আছেন যারা এই ফলটিকে খুবই পছন্দ করেন। আবার অনেকেই আছেন এটিকে খুব একটা পছন্দ করেন না। কিন্তু পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফলটির উপকারিতা রয়েছে অনেক। যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। জলপাই-এর মধ্যে ভিটামিন সি রয়েছে। এছাড়াও ভিটামিন, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ জলপাই-এর রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী জলপাই দেখে নিন এখনই।

আরও পড়ুন-সম্পর্ক সুস্থ্য এবং স্বাভাবিক রাখতে মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলি...

জলপাই-এর স্বাস্থ্য উপকারিতা

শীতকালে জলপাই খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারী।  গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় যারা দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন তারা প্রতিদিন একটা করে জলপাই খান। এছাড়াও যাদের আলসার হয়েছে তাদের জন্যও খুব উপকারী জলপাই।

কালো জলপাই ভিটামিন-ই এর ভাল উৎস। এটি ফ্রি ব়্যাডিকেল ধ্বংস করে , যার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ভিটামিন-ই থাকার ফলে কোষের অস্বাভাবিক গঠনে বাঁধা দেয় এবং যার ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকিও অনেকাংশে কমে যায়।
 
নিয়মিত জলপাই খেলে পিত্তথলির পিত্তরস ঠিকমতো কাজ করে। পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

জলপাইতে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে।

আরও পড়ুন-কীভাবে বুঝবেন আপনার সন্তান ডিহাইড্রেশনের শিকার, রইল কয়েকটি উপায়...

ভিটামিন সি-তে ভরপুর জলপাই খেলে সর্দি, কাশির মতো রোগ থেকেও দূরে থাকা যায়। এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ বাড়াতেও সাহায্য করে এই জলপাই।

জলপাই রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে খুবই কার্যকরী।

জলপাই থেকে  যে তেল তৈরি হয় তা অলিভ অয়েল নামে পরিচিত। এই তেলের মধ্যে ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ত্বক ও চুলের জন্য ভীষণ উপকারী।

যাদের চুল খুব উঠে যাচ্ছে,তারা নিয়মিত জলপাই খান এবং প্রয়োজনে অলিভ অয়েল লাগান। অলিভ অয়েল চুলের গোড়া মজবুত করে। এর পাশাপাশি চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যাও ঠিক করে দেয়।

জলপাইয়ে ভিটামিন সি থাকায় ত্বকের জন্যও খুব উপকারী। ত্বকে মসৃণ ভাব আনতে এর জুড়ি মেলা ভার।

জলপাই-এর তেল অর্থাৎ অলিভ অয়েল খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও অনেকটাই কমে যায়।