সংক্ষিপ্ত
- বাচ্চার দাঁতের জন্য সবচাইতে ক্ষতিকর জিনিস হল চিনিযুক্ত খাবার
- বাচ্চার দাঁত ওঠার পর থেকেই ব্রাশ কিন্তু মাস্ট
- মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকেই বাসা বাঁধে ক্যাভিটির
- চকোলেট বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার পর ভাল করে মুখ কুলকুচি করিয়ে দেবেন
শিশুরা সাধারণত চকোলেট, ক্যান্ডি খেতে খুব পছন্দ করে। বাড়িতে কোন বাচ্চা থাকলেই ঘরে জমতে থাকে এই চকোলেট। শিশুর বায়নাক্কা থেকে মুক্তি পেতে শিশুদের মুখের সামনে তুলে ধরা হয় এই চকোলেট। কিন্তু এই জাতীয় খাবারগুলি থেকেই শুরু হয় বাচ্চার দাঁতের সমস্যা। প্রথম অবস্থায় এই বিষয়গুলি নিয়ে কেউই মাথা ঘামায় না। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জাকিয়ে বসে এই সমস্যাগুলি। আর সেখান থেকেই বাসা বাঁধে ক্যাভিটির। কিন্তু প্রথম থেকেই যদি বাচ্চার দাঁতের যত্ন নেওয়া হয়। তাহলে নিমেষেই বাচ্চাকে এই রোগ থেকে দূরে রাখা যায়।
আরও পড়ুন-মোবাইলের নেশায় আসক্তি, অ্যাপেই মিলবে সমাধান...
বাচ্চার দুধের দাঁত যেই সময় ওঠে তখন থেকেই দাঁতের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। ডেন্টিসরা মনে করেন, দাঁতের গড়নের জন্য অনেক সমস্যা হতে পারে। সঠিক ভাবে দাঁতের যত্ন না নিলে দাঁতের নানান সমস্যা দেখা যায়। বাচ্চার দাঁতের জন্য সবচাইতে ক্ষতিকর জিনিস হল চিনিযুক্ত খাবার। বাইরের প্যাকেটজাত খাবার, চকোলেট, ক্যান্ডি থেকেই শুরু হয় বাচ্চার দাঁতের সমস্যা।
আরও পড়ুন-ক্যানসার থেকে হৃদরোগ, সবেতেই কার্যকরী পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই আলু...
বাচ্চার দাঁতের যত্ন কীভাবে নেবেন
বাচ্চার দাঁত ওঠার পর থেকেই ব্রাশ কিন্তু মাস্ট। তবে অনেক বাচ্চারই খুব ছোট বয়সেই দাঁত উঠে যায়। তাই ব্রাশ না দিলেও নিজের হাত ভাল করে ধুয়ে নিয়ে আঙুেলর সাহায্যে মুখের ভিতর পরিষ্কার করে নিন। একবছর হয়ে গেলেই আস্তে আস্তে ব্রাশ করানো শুরু করে দিন।
আপনার সন্তান বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের টুথব্রাশ নিজেকেই বেছে নিতে দিন। বাজারে এখন নানা ধরনের কালারফুল ব্রাশ পাওয়া যায়। এতে নিজে থেকে ব্রাশ করারও আগ্রহ জন্মাবে।
পাঁচ থেকে আট বছর বয়স অবধি বাচ্চাকে নিজের সামনে রেখে ব্রাশ করান। শুধু ব্রাশ করলেই হবে না। ব্রাশ করার কিছু প্রাথমিক পদ্ধতি রয়েছে। সেগুলি ওকে হাতে ধরে দেখিয়ে দেবেন। আর সবচাইতে ভাল হয় যদি বাচ্চার সামনে আপনি নিজেও ব্রাশ করে নেন। আপনাকে দেখে দেখে আপনাক বাচ্চাও শিখে যাবে।
শিশুর দাঁতের এনামেলের আবরণ পাতলা হয়। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শে ফ্লুরাইড টুথপেস্ট ব্যবহার করাতে পারেন। ফ্লুরাইড দাঁতের এনামেলকে শক্ত করে তোলে।
খাওয়ার সময় টিভি দেখে না খাইয়ে সকলে মিলে একসঙ্গে খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে বাচ্চার চিবিয়ে খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হবে। এবং খাবার চিবিয়ে খেলে দাঁতও মজবুত হবে।
চকোলেট বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার পর ভাল করে মুখ কুলকুচি করিয়ে দেবেন।
অনেক বাচ্চাদেরই দাঁত এবড়ো খেবড়ো হয়। তাই শুরুতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দাঁতের সেটিংস করে নিন। এইভাবে ছোট থেকে দাঁতের যত্ন নিলে আপনার বাচ্চার দাঁত ভাল থাকবে।