সংক্ষিপ্ত
মাঝ সমুদ্র থেকে শাহরুখ পুত্র আরিয়ানসহ গ্রেফতার আরও দুই। শনিবার মুম্বইয়ের বিলাসবহুল জাহাজে রেভ পার্টি থেকে এনসিবির জালে ধরা পড়েন অভিনেতার পুত্র সহ আরও কয়েকজন। কিন্তু কী এই রেভ পার্টি? আদতে কতটা আইনসম্মত এই পার্টি?
রবিবার সকাল থেকে শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খানের এনসিবির হাতে ধরা পড়ার পর থেকেই আচমকা শিরোনামে উঠে এসেছে একটি শব্দ 'রেভ পার্টি' (Rave Party)। সাধারণত ইলেক্ট্রনিক মিউজিক ডান্স পার্টিকে বলা হয় রেভ পার্টি (Rave Party)। এই ধরণের পার্টিতে সারারাত সারারাত EDM বাজতে থাকে। অন্ধকার ঘর এবং লেজার লাইটের আলোয় এক মায়াবী পরিবেশ সৃষ্টি গোটা মহল জুড়ে। লাইভ মিউজিক পারফর্মাররা ব্যাক টু ব্যাক সঙ্গীত পরিবেশন করতে থাকেন, নয়ত সারারাত DJ ইলেকট্রনিক প্লে লিস্ট চালাতে থাকেন। বলিউড চলচ্চিত্রে ও এই ধরণের পার্টি দেখা গেছে। দীপিকা পাডুকোন 9Deepika Padukone) অভিনীত 'দম মারো দম' ছবিটি তাঁর মধ্যে একটি। তবে এই পার্টি নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে একাধিক প্রশ্ন। আসুন জেনে নিই এই পার্টির সম্পর্কে বিস্তারিত।
আরও পড়ুন- এনসিবি ভাবেইনি জালে রাঘব বোয়ালরা ধরা পড়বে, আধিকারিকদের মোক্ষম চালে কাত শাহরুখ পুত্র
'রেভ পার্টি' আসলে কী?
'রেভ' শব্দটি জামাইকান (Jamaican)। যার অর্থ আদতে নাচ এবং মদ্যপান সহযোগে পার্টি করা। সারারাত ধরে এই পার্টি চলে। সাধারণত বিশাল জায়গা জুড়ে এই পার্টির আয়োজন করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রেভের খবর মুখে মুখে ছড়িয়ে যায়।
'রেভ পার্টি কি আইনসম্মত না কি বেআইনি?
সাধারণত এই ধরণের পার্টি করা বেআইনি (Illegal) নয়। তবে কোথায় এই পার্টির আয়োজন করা হচ্ছে বা পার্টিতে আগত মানুষদের ব্যবহারের উপর নির্ভর করছে যে আদৌ এই আইনি না কি বেআইনি। নাবালকদের মদ্যপান বা মাদকের ব্যবহার সহ অন্য কোনও অপরাধ অবশ্যই বেআইনি। তবে সারারাত পার্টি করা কোনোভাবেই বেআইনি নয়।
তবে এই ধরণের পার্টিতে মূলত দেখা যায় টিনেজারদের (Teenagers)। তাঁদেরকে টার্গেট করেই এই ধরণের পার্টিতে মাদক পাচারকারীদের যোগাযোগ আছে বলে মনে করা হয়। গোয়েন্দা সংস্থার অনুমান, ওই ধরনের পার্টিতে নিষিদ্ধ মাদক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। শুধু তাই নয় তাঁদের দাবি এই ধরণের পার্টিতে না কি একসট্যাসির মতো দুর্লভ পার্টি ড্রাগের আমদানিও হয়। প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে মুম্বইয়ের ক্রুজ রেভ পার্টিতে হানা দেয় এনসিবি (NCB)। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় কোকেন, চরস, মেফিড্রোন, একস্ট্যাসির মতো মাদক। এদিন এই মাদক কান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানসহ (Aryan Khan) আরও কয়েকজনকে। যদিও শাহরুখ (Shahrukh Khan) পুত্র দাবি করেন তিনি কেবল নিমন্ত্রিত ছিলেন মাত্র। বর্তমানে আরিয়ান খানসহ আরও ২ জনকে ৪ঠা অক্টোবর পর্যন্ত এনসিবি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন- মুম্বই ড্রাগ কেস- চৌঠা অক্টোবর পর্যন্ত এনসিবি হেফাজতে আরিয়ান খান