সংক্ষিপ্ত
আমরা ৯ জুলাই চকোলেট ডে পালন করলেও বিশ্বের নানা দেশের ক্যালেন্ডার বলছে অন্য কথা। সেই আনুসারে ৭ জুলাই পালিত হয় বিশ্ব চকোলেট ডে। তেমনই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৩ সেপ্টেম্বর ইন্টারন্যাশনাল চকোলেট ডে। ব্রিটেনে ২৮ অক্টোবর পালিত হয় জাতীয় চকোলেট দিবস।
চকোলট ডে শব্দটা শুনলে সকলের মনে ভ্যালেন্টাইন্স উইকের কথা মাথায় আসে। তবে, জানেন কি বছরে এক নয়, একাধিকবার পালিত হয় চকোলেট দিবস। আমরা ৯ জুলাই চকোলেট ডে পালন করলেও বিশ্বের নানা দেশের ক্যালেন্ডার বলছে অন্য কথা। সেই আনুসারে ৭ জুলাই পালিত হয় বিশ্ব চকোলেট ডে। তেমনই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৩ সেপ্টেম্বর ইন্টারন্যাশনাল চকোলেট ডে। ব্রিটেনে ২৮ অক্টোবর পালিত হয় জাতীয় চকোলেট দিবস।
সেই অনুসারে আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব চকলেট দিবস। এই দিনটি নিয়ে রয়েছে নানান ইতিহাস। কেউ কেউ বলেন, ১৫৫০ সালে ইউরোপে চকোলেটের প্রবর্তনকে স্মরণ করতেই দিনটি পালিত হয়। ১৬র শতকে মিষ্টি হয়ে ওঠে অনেক পরিবারের জনপ্রিয় খাবার। সে সময় বেকারস চকোলেট ছিল আমারিকার প্রথম চকোলেট কোম্পানি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল কনফেকশনার্স অ্যাসোসিয়াশন চিনিযুক্ত খাবার উদযাপনের জন্য এখটি বিশেষ দিন মনোনীত করে। কিছু সূত্র মনে করেন, ২০০৯ সালে প্রথম বিশ্ব চকোলেট দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দিনটি রয়েছে একাধিক মাহাত্ম্য রয়েছে বিস্তর।
বিশ্ব চকলেট দিবসে জেনে নিন চকোলেট সম্পর্কে কিছু অজানা কথা-
ডার্ক চকোলেট অ্যান্টি অক্সিডেন্ট পূর্ণ। যা রক্ত চাপ কমাতে ও কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। তাই শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে খেতে পারেন ডার্ক চকোলেট।
আমরা অনেকেই জানি কোকো গাছের বীজ থেকে তৈরি হয় চকোলেট। এই কোকো গাছটিকে গ্রীক ভাষায় বলা হয় থিওব্রোমা ক্যাকাও। এর অর্থ হল দেবতাদের জন্য খাদ্য।
৫০০ গ্রাম চকোলেট তৈরিতে ৪০০ পর্যন্ত কোকো বীজ প্রয়োজন। চকোলেট ব্যক্তির স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে থাকে। বর্তমানে অধিকাংশই স্ট্রেসের সমস্যায় ভুগছেন। এই স্ট্রেস থেকে দেখা দিচ্ছে একাধিক রোগ। শরীর সুস্থ রাখতে ও স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোজ ১ টুকরো করে ডার্ক চকোলেট খান। এতে মন ভালো থাকবে।
ওজন কমাতেও খেতে পারেন ডার্ক চকোলেট। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এতে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম থাকে। অন্য দিকে, এতে থাকা একাধিক উপাদান স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। সে কারণে খেতে পারেন চকোলেট।
অনেকে ডার্ক চকোলেটের থেকে এমনি চকোলেট বেশি পছন্দ করেন। তবে, দেখা গিয়েছে, এই ধরনের চকোলেটে কোকো কণা নেই। এটি কেবল চিনি, ভ্যানিলা ও কোকো মাখনের মিশ্রণে তৈরি করা হয়।
আরও পড়ুন- বর্ষায় সংক্রমণ থেকে বাঁচতে কানের নিন বিশেষ যত্ন, জেনে নিন কী কী করবেন
আরও পড়ুন- গাঁটে গাঁটে ব্য়াথায় কাবু আপনি, জেনে নিন কোন খাবার খাবেন, আর কী ভুলেও খাবেন না