সংক্ষিপ্ত

১৩৪৮ সানের ২২ শ্রাবণ কলকাতায় পৈতৃক বাস ভবনে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। মৃত্যুর আগে দীর্ঘ কষ্ট সহ্য করতে হয়েছিল কবি গুরুকে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন। 

আজ ২২ শে শ্রাবণ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রণায় দিবস। বাংলার ১২৬৮ সানের ২৫ বৈশাখ জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতে জন্ম হয় তাঁর। মা সারদাসুন্দরী দেবী ও বাবা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। আর বাংলা ১৩৪৮ সানের ২২ শ্রাবণ কলকাতায় পৈতৃক বাস ভবনে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। মৃত্যুর আগে দীর্ঘ কষ্ট সহ্য করতে হয়েছিল কবি গুরুকে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন। 

প্রয়াণের চার বছর আগে অসুস্থ হয়েছিল তিনি। অসুস্থ অবস্থাতেও তিনি লেখা লিখি ছাড়েনি কবি। আরও নতুন সৃষ্টি করেন এই অবস্থাতেই। শারীরিক অবস্থা তাঁকে দমাতে পারেনি। ১৯৩৭ সালে কিডনির সমস্যা দেখা দেয় কবির। জানা যায়, শান্তিনিকেতন থেকে ১৯৪০ কালিম্পং গিয়েছিলেন। সেখানে ছিলেন তাঁর পুত্রবধূ। পাহাড়ের টানে সেখানে গেলেও জল হাওয়া সহ্য হয়নি তাঁর। ২৬ সেপ্টেম্বর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। চিকিৎসক তাঁকে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। তিনি প্রথমে রাজি হন। সেখানে কিছুদিন থাকার পর সামান্য সুস্থ হওয়ার পর তিনি কলকাতায় আসেন। শেষে, জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়িতেই তাঁর অস্ত্রপচার হয়। সে কঠিন কষ্ট। সকলেই ভেবেছিলেন অপারেশনের পর তাঁর স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে। কিন্তু, হল উল্টো। একদিকে অস্ত্রপচারের কষ্ট, তারপর তার থেকে ইনফেকশন হয়ে যায়। কঠিন যন্ত্রণা সহ্য করতে হয় কবিকে। শেষ ২২ শ্রাবণ, বাংলা ১৩৪৮ সালে মৃত্যু হয় বিশ্ব কবির। চির ঘুমের দেশে চলে যান তিনি। থমকে যায় তাঁর সৃষ্টি। 

৫ ও ৬ অগস্ট দ্রুত অবনতি কবিগুরুর স্বাস্থ্যের। আকাশবাণীতে কবিগুরুর স্বাস্থ্য নিয়ে আপডেট দেওয়া  হয়েছিল সে সময়। ঠাকুরবাড়ির পরিস্থিতি নিয়ে খবর রাখছেন মহাত্মা গান্ধী, জহরলাল নেহরুরাও। বাংলার ইংরেজ সরকারেও পরিস্থিতির ওপর নজর রেখেছিলেন। শেষে ২২ শ্রাবণ, বাংলা ১৩৪৮ সালে সকাল ৯ টায় কবিকে আক্সিজেন দেওয়া হয়। শেষবারের মতো দেখতে গিয়েছিলন চিকিৎসকর বিধান রায়, ললিত বন্দ্যোপাধ্যায়। কবির কানের কাছে চলছে অবিরাম মন্ত্রোচ্চারণ তাঁখ জীবনের বীজমন্ত্র ‘শান্তম, শিবম, অদ্বৈত্যম’। তারপর অক্সিজেনের নল খুলে দেওয়া হল ১২টা ১০ মিনিটে পুরোপুরি বৃদ স্পন্দন থেমে গেল। 
সকলেই কবিগুরুকে শেষ বারের জন্য দেখতে ভিড় জমান। জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির বাইরে ফুলে ফলে ফুলে সজ্জিত শকট তৈরি ছিল। কবিগুরুর শবদেহ সেখানে তোলা হয়। আজ দেখতে দেখতে পার হল ৮১ বছর। আজও বাঙালি তথা বিশ্বের কাছে দিনটি সমান বেদনার।  

 

আরও পড়ুন- আম খেলেই ব্রণ দেখা দেয়? আদৌ কি সত্যি একথা, জেনে নিন আম ত্বকের জন্য উপযুক্ত কি না

আরও পড়ুন- শাড়ি-কুর্তি পরলেও দেখাবে স্লিম, রইল চারটে সহজ টিপস

আরও পড়ুন- সপ্তাহের শুরুতেই সোনার দাম কোথায় ঠেকল, রেকর্ড দরের চেয়ে অনেকটাই সস্তা হল রূপো