সংক্ষিপ্ত

বাজানো যায় না উচ্চ শব্দের বাদ্য, পরা যায় না কালো পোশাক। দেবী কমলার আরাধনায় আর কী কী নিষেধাজ্ঞা অবশ্যই মেনে চলা উচিত? 

আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষে পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো হয়। শাস্ত্রমতে লক্ষ্মী হলেন ধনসম্পদের দেবী। তাই তাঁকে তুষ্ট করে ধনসম্পদের আশায় পুজোর আয়োজন করেন গৃহস্থরা। বহু বাঙালি বাড়িতেই প্রতি বৃহস্পতিবার নিয়ম করে লক্ষ্মীর পুজো করেন মহিলারা। পৌষ সংক্রান্তি, চৈত্র সংক্রান্তি এরকম বিশেষ কিছু তিথিতেও লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়। কখনও ঘটে, কখনও পটে, কখনও আবার প্রতিমার গলায় মালা পরিয়ে লক্ষ্মীর পুজো করা হয়। তবে, দেবী কমলাকে তুষ্ট করতে বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে পুজো করা ভীষণ জরুরি। লক্ষ্মী পুজোয় কয়েকটি ভুল কোনওমতেই করা যাবে না।

২০২২ সালে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো পড়েছে ৯ অক্টোবর, রবিবার। ৮ অক্টোবর শনিবার রাত ৩টে ২৯ মিনিট থেকে শুরু হবে পূর্ণিমা তিথি, পূর্ণিমা থাকবে ৯ অক্টোবর রাত ২টো ২৫ মিনিট পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে বাড়িতে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো করা যাবে।

পুজোর নিষেধাজ্ঞাগুলি হল,
মা লক্ষ্মীকে কখনও ভুলেও সাদা রঙের ফুল দিয়ে পুজো করবেন না। সাদা রং ছাড়া লাল, হলুদ বা গোলাপি রঙের ফুল লক্ষ্মী পুজোয় ব্যবহার করা যাবে।

লক্ষ্মী পুজোয় তুলসি পাতা ব্যবহার করা যাবে না। পুরাণ অনুসারে, তুলসির সঙ্গে শালগ্রাম শিলার বিবাহ হয়। শালগ্রাম শিলা নারায়ণের প্রতিভূ। যেহেতু শ্রীলক্ষ্মীও বিষ্ণুপত্নী, তাই এই পুজোয় তুলসির ব্যবহার চলে না।

মা লক্ষ্মীর পুজোয় সাদা ফুল যেমন ব্যবহার করা যায় না, তেমনই আসনে সাদা বা কালো কাপড়ের বদলে ব্যবহার করা যেতে পারে লাল, হলুদ, গোলাপি, ইত্যাদি রঙের কাপড়। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে পুজোর আসনে সাদা বা কালো রঙের কাপড়ের ব্যবহারে মা লক্ষ্মী রুষ্ট হন।

লক্ষ্মী পুজোয় তোলা চাল থেকে কাউকে চাল দিতে নেই।

লক্ষ্মীপুজোর প্রসাদে কখনও ‘না’ বলতে নেই। অল্প হলেও মুখে তুলতে হয়।

ঢাক, ঢোল, কাঁসর, ঘণ্টা, ইত্যাদি উচ্চ শব্দের বাদ্যযন্ত্র লক্ষ্মীপুজোয় বাজানো যাবে না। অত্যধিক শব্দ পছন্দ করেন না শান্ত লক্ষ্মী। তাঁর পুজোয় কাঁসর ঘণ্টা বাজালে দেবী ক্ষুব্ধ হয়ে সেই গৃহ ত্যাগ করেন বলে মনে করা হয়। শঙ্খ বাজালে লক্ষ্মী রুষ্ট হন না বলে মনে করা হয়।

লক্ষ্মীপুজো করার সময় কোনওভাবেই কালো পোশাক পরা যাবে না।

লক্ষ্মী পুজো মানেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা। ভালো করে ঘর ধুয়ে মুছে আলপনা দিয়েই তবেই পুজোর আয়োজন হয়। আর প্রসাদের মধ্যে অবশ্যই থাকবে বাড়ির তৈরি নাড়ু, মুড়কি, মোয়া।

স্নান করে পরিচ্ছন্ন জামাকাপড়ে লক্ষ্মীর পুজোয় বসতে হয়। পুজোর ঘরে সুগন্ধি ধূপ জ্বেলে রাখলে দেবী সেই পরিবেশে মুগ্ধ হন।

আরও পড়ুন-
উভয় বঙ্গেই বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর, তাহলে কি দুর্গাপুজোর মতোই মাটি হবে লক্ষ্মীপুজোর আমেজ?
মা-মেয়ের সঙ্গে ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই কি হরিদেবপুরের অয়ন মণ্ডলকে খুন করে দেহ লোপাটের চেষ্টা বান্ধবীর বাবার?
লক্ষ্মী পুজোর সঙ্গে কীভাবে জড়িয়ে রয়েছে জেগে থাকার বার্তা? জানুন 'কোজাগরী'-র প্রকৃত অর্থ