ফ্রিজের আয়ু বাড়াতে মেনে চলুন এই ৫ টি পরামর্শ! বহুকাল টিকে যাবে আপনার রেফ্রিজারেটর

দিনকালের সাথে পাল্লা দিয়ে মানুষের প্রয়োজন বদলেছে, চাহিদা বেড়েছে ঘরের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের। রোজকার ব্যস্ততায় খাবার সংরক্ষণ থেকে শুরু করে পানীয় ঠান্ডা রাখা—ফ্রিজ ছাড়া যেন দিন চলে না। কিন্তু জানেন কি, একটু অবহেলা বা ভুল ব্যবহারেই দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে আপনার ফ্রিজ? অন্য ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রের তুলনায় ফ্রিজকে রাখতে হয় একটু বেশি যত্নে। তবে নিয়ম মেনে ব্যবহার করলেই ফ্রিজ থাকবে দীর্ঘদিন কার্যকর।

ফ্রিজ ঠিক রাখতে মেনে চলুন এই ৫টি পরামর্শ

১। ফ্রিজের দরজা বারবার খোলা নয়

প্রতিবার ফ্রিজের দরজা খোলার সময় বাইরের গরম হাওয়া ভিতরে ঢুকে পড়ে, যার ফলে ফ্রিজের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা ওঠানামা করে। কম্প্রেসার বারবার চালু ও বন্ধ হয়, এতে বিদ্যুৎ খরচ বাড়বে। খাবার দ্রুত নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়তে থাকবে এতে।

দরজা খোলার আগে ঠিক করে নিন কী নিতে চান। ফ্রিজ খুলে দাঁড়িয়ে খাবার বা সবজি নির্বাচন করতে যাবেন না।

২। সব খাবার ফ্রিজে রাখা যাবে না

ফ্রিজে সব খাবার রাখা যায় না। আলু-পেঁয়াজ এগুলো শুষ্ক ও ছায়াযুক্ত স্থানে সংরক্ষণ করুন। ফ্রিজে রাখা যায় না এমন কিছু খাবারের তালিকা -

* আলু: ঠান্ডায় শর্করা রূপান্তরিত হয়ে স্বাদ নষ্ট হয়।

* পেঁয়াজ: আর্দ্রতায় নরম হয়ে যেতে পারে, পচে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।

* টমেটো: ঠান্ডায় গন্ধ ও স্বাদ পরিবর্তিত হয়।

৩। নিয়মিত ফ্রিজ পরিষ্কার করুন

খাবার রাখা বা বের করার সময় ভুলবশত কিছু পড়ে গেলে তা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে, ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে। অন্য খাবারও দূষিত হয়ে পড়তে পারে।

সপ্তাহে অন্তত একবার ফ্রিজ পরিষ্কার করুন। এক টুকরো লেবু, বেকিং সোডা বা ভিনেগার মিশিয়ে পরিষ্কার করা যেতে পারে।

৪। ফ্রিজে অতিরিক্ত বোঝা নয়

অনেকেই ভাবেন, যত বেশি জিনিস, তত সুবিধা। কিন্তু, অতিরিক্ত বোতল, কন্টেইনার বা প্যাকেট রাখলে এয়ার সার্কুলেশনে বাধা সৃষ্টি হয়। ফ্রিজ সমভাবে ঠান্ডা করতে পারে না। কম্প্রেসারের উপর চাপ পড়ে

ফ্রিজে জিনিস রাখার সময় কিছুটা ফাঁকা জায়গা রাখুন যাতে হাওয়া সহজে চলাচল করতে পারে।

৫। কয়েল পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত জরুরি

ফ্রিজের পিছনে থাকা কন্ডেনসার কয়েল খাবার ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। তবে, ধুলো জমলে ঠান্ডা হতে সময় লাগে। বিদ্যুৎ খরচও বাড়ে, ফ্রিজের দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতি হয়।

৩-৪ মাস অন্তর ফ্রিজের পিছনের অংশ ঝাড়ু বা ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করুন। প্রয়োজনে পেশাদার সাহায্য নিন।