- Home
- Lifestyle
- Lifestyle Tips
- গ্রীষ্মে এড়িয়ে চলুন এই ৯টি খাবার! নইলে কিন্তু ভয়ঙ্কর শারীরিক ক্ষতি হতে পারে
গ্রীষ্মে এড়িয়ে চলুন এই ৯টি খাবার! নইলে কিন্তু ভয়ঙ্কর শারীরিক ক্ষতি হতে পারে
গ্রীষ্মে এড়িয়ে চলুন এই ৯টি খাবার! নইলে কিন্তু ভয়ঙ্কর শারীরিক ক্ষতি হতে পারে

আলু :
আলু হল স্টার্চযুক্ত একটি সবজি যা হজম করতে বেশি সময় নেয়। এর গ্লাইসেমিক সূচক বেশি হওয়ায় এটি শরীরে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দিতে পারে। গ্রীষ্মকালে এটি শরীরে অতিরিক্ত তাপ উৎপন্ন করতে পারে এবং হজমতন্ত্রের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে।
মূলা :
মূলা সাধারণত ঠান্ডা সবজি হিসেবে বিবেচিত হলেও, এতে কিছু ধরণের সালফার যৌগ থাকে যা কিছু লোকের হজমের সমস্যা (বিশেষ করে গ্যাস) সৃষ্টি করতে পারে। গ্রীষ্মকালে শরীরে পানিশূন্যতার কারণে হজমতন্ত্র দুর্বল থাকলে এটি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
বেগুন :
বেগুন শরীরে পিত্ত বৃদ্ধি করে বলে আয়ুর্বেদে বলা হয়। গ্রীষ্মকালে শরীর গরম থাকলে বেগুন আরও তাপ বাড়িয়ে ত্বকের সমস্যা বা অম্লতা সৃষ্টি করতে পারে।
রসুন :
রসুন শরীরের জন্য অনেক উপকারী হলেও, এটি একটি "গরম" খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়। গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত রসুন খাওয়া শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে, বিশেষ করে যাদের হজমের সমস্যা বা বুক জ্বালাপোড়া আছে তাদের জন্য এটি অস্বস্তিকর হতে পারে।
পেঁয়াজ :
রান্না করা পেঁয়াজ সাধারণত সমস্যা নয়, তবে গ্রীষ্মকালে কাঁচা পেঁয়াজ বেশি খেলে কিছু লোকের গ্যাস এবং বদহজম হতে পারে। এটি শরীরের তাপমাত্রাও কিছুটা বাড়িয়ে দিতে পারে।
কাঁচা মরিচ :
কাঁচা মরিচ হল একটি ঝালযুক্ত খাবার যা শরীরে তাপ উৎপন্ন করে। গ্রীষ্মকালে এটি বেশি খেলে ঘাম বৃদ্ধি পায় এবং কিছু লোকের হজমের সমস্যা বা বুক জ্বালাপোড়া হতে পারে। ঝালযুক্ত খাবারগুলি সাধারণত গ্রীষ্মকালে এড়িয়ে চলা উচিত।
মটরশুঁটি :
মটরশুঁটি (বিশেষ করে শুকনো মটরশুঁটি) হজম করা কঠিন। এতে প্রচুর প্রোটিন এবং ফাইবারের সাথে কিছু শর্করাও থাকে যা গ্যাস এবং বদহজম সৃষ্টি করতে পারে। গ্রীষ্মকালে এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া ভালো।
শাকসবজি :
সাধারণত শাকসবজি স্বাস্থ্যকর হলেও, কিছু শাক (পালং শাক) গ্রীষ্মকালে হজম করতে কিছুটা বেশি সময় নিতে পারে। এতে অক্সালেট থাকায় কিডনির সমস্যা আছে এমন লোকদের গ্রীষ্মকালে এর পরিমাণ কমিয়ে আনা উচিত। তবে পুদিনা, ধনেপাতার মতো হালকা শাক গ্রীষ্মের জন্য উপযুক্ত।

