তেজপাতা শুধুমাত্র রান্নার মসলাই নয়, এটি ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসাতেও কার্যকরী। নিয়মিত তেজপাতার চা পান করলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকার পাওয়া যায়।

রাঁধুনীতে এমন অনেক মসলা রয়েছে যা বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় কাজ করে। আক্রান্ত শর্করা থেকে উচ্চ রক্তচাপ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করতে এই মসলা বা পাতা ব্যবহার করা হয়। ডায়াবেটিসে অনেক বাড়ির চিকিৎসা কার্যকরী প্রমাণিত হয়। নিয়মিত ব্যবহারে শরীরে রক্ত শর্করা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

এই রকম একটি শুকনো পাতা হল তেজ পাতা, এই উপাদান মূলত গরম মসলা হিসাবে ব্যবহার করা হয়। তেজ পাতা বেশ সুগন্ধি হয়। ডায়াবেটিসের রোগীরা যদি সকালে খালি পেটে তেজ পাতা চা তৈরি করে পান করেন তবে এর ফলে শর্করা কমাতে সাহায্য হয়।তেজ পাতা স্বাস্থ্যকর হিসাবে অনেক উপকারী মনে করা হয়। তেজ পাতায় প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজ পাওয়া যায়। এই সকল পুষ্টি উপাদান ডায়াবেটিসে কার্যকরী প্রমাণিত হয়। তেজ পাতায় লোহা, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, সেলেনিয়াম এবং তামা রয়েছে। কিছুদিন নিয়মিত তেজ পাতা জল বা চা পান করলে পুরনো ডায়াবেটিসও কমানো সম্ভব।

সুগারে তেজপাতার উপকারিতা- আয়ুর্বেদিক ডাক্তারদের মতে, সুগার কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ভেষজ ব্যবহার করা যায়। আচার্য বালাকৃষ্ণের মতে, ডায়বেটিসে তেজপাতা বেশ উপকারী। অনেক গবেষণায়ও দেখা গিয়েছে যে, ডায়েট এবং ব্যায়ামের সাথে কিছু আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি গ্রহণ করলে সুগার কমতে পারে।

ডায়বেটিস রোগীদের জন্য তেজপাতার চা অত্যন্ত উপকারী। তেজপাতার চা তৈরি করতে ১ টি তেজপাতা ১ গ্লাস জলে মিশিয়ে রাতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে এ জলটা ফুটিয়ে ছেঁকে পান করুন। চাইলে সাধারণ দুধের চায়ের সঙ্গেও তেজপাতা ব্যবহারও করতে পারেন।

এ ছাড়া, তেজপাতার চায়েতে সামান্য দারুচিনি, এলাচ এবং তুলসী মিশিয়েও প্রস্তুত করা যায়। স্বাভাবিকভাবে আপনি সকালে খালি পেটে তেজপাতার পানি পান করতে পারেন। এতে ধীরে ধীরে ব্লাড শুগারের স্তর স্বাভাবিক হতে শুরু করবে।

এই রোগগুলোতে তেজ পাতা উপকারে আসে। তেজ পাতা শুধুমাত্র খাদ্যের স্বাদ বৃদ্ধি করে না বরং অনেক রোগের ক্ষেত্রেও কার্যকরী। তেজ পাতা খাওয়ার ফলে পেটের সমস্যা যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি, পেটের মুচড়ানো ও ব্যথা কমানো যেতে পারে। যদি কিডনিতে পাথর হয়ে থাকে তবে তেজ পাতার জল পান করলে উপকার পাওয়া যাবে। যাদের ঘুমের সমস্যা আছে, তারা তেজ পাতার তেলের কিছু ফোঁটা জলেও মিশিয়ে পান করতে পারেন। জয়েন্টে তেজ পাতার তেল দিয়ে মাসাজ করা আরাম দেয়।