সংক্ষিপ্ত
ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত উপকারী তেজপাতা! এর চমৎকার উপকার জানলে চমকে যাবেন
রান্নাঘরে পাওয়ার বেশ কিছু মশলা বহু ধরণের আয়ুর্বেদিক ওষুধ এবং ঘরোয়া প্রতিকারেও ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে গরম মশলায় ব্যবহৃত জিনিস সব স্বাস্থ্যের জন্যই খুবই উপকারী।
ডায়াবিটিসে তেজপাতা খুবই কার্যকরী। খাবারে তেজপাতা স্বাদ ও সুগন্ধ বাড়াতে ব্যবহার করা হয়। ডায়াবিটিসে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়াতে কাজ করে তেজপাতা। তেজপাতায় পাওয়া পুষ্টি ও ভিটামিনের কারণে এমনটা হয়।
তেজপাতায় কী কী পুষ্টিগুণ রয়েছে?
তেজপাতা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তেজপাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং প্রচুর ভিটামিন মিনারেল। তেজপাতায় রয়েছে আয়রন, পটাশিয়াম, সেলেনিয়াম, ক্যালসিয়াম ও কপার। যা সুগার কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন তেজপাতা ব্যবহার করলে দীর্ঘস্থায়ী সুগার নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
ডায়াবিটিসে তেজপাতার ব্যবহার
প্রতিদিনই ডায়াবিটিস রোগীদের নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। যার মধ্যে তাদের খাদ্যাভ্যাস ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিবর্তন করে প্রাকৃতিকভাবে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা হয়। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। ডায়েট এবং ব্যায়াম পরিবর্তন করা ইনসুলিন ফাংশন উন্নত করে। জার্নাল অব বায়োকেমিক্যাল নিউট্রিশনে প্রকাশিত এক জরিপে দেখা গেছে, টাইপ-২ ডায়াবেটিসে রক্তে শর্করার পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে নিয়ন্ত্রণ করে তেজপাতা।
তেজপাতার উপকারিতা
তেজপাতা পেট সম্পর্কিত রোগ যেমন শূল, কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি এবং ক্র্যাম্প হ্রাস করে। কিডনিতে পাথর থাকলেও তেজপাতার পানি পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ঘুমের পরও পানিতে কয়েক ফোঁটা তেজপাতার তেল মিশিয়ে পান করলে উপকার পাওয়া যায়। তেজপাতার তেল দিয়ে মালিশ করলে জয়েন্টের ব্যথা ও বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।