আপনার সন্তান কি বয়স অনুযায়ী বাড়ছে না? কী করে সামলাবেন এই সমস্যা জেনে নিন দুর্দান্ত টেকনিক
আজকাল কিছু বাচ্চাদের বৃদ্ধি কম দেখা যায়। আগের প্রজন্মের তুলনায় বা তাদের সমবয়সী অন্যান্য বাচ্চাদের তুলনায় তাদের বৃদ্ধি এবং উচ্চতা কম। দশম শ্রেণীর ছাত্র ষষ্ঠ শ্রেণীর মতো দেখতে কেন? এটা কিভাবে ঠিক করবেন তা এই পোস্টে দেখুন।
পুষ্টির অভাব
পর্যাপ্ত পুষ্টি না পাওয়া একটি কারণ হতে পারে। সব ধরনের পুষ্টি সমৃদ্ধ সুষম খাবার না পাওয়া প্রধান কারণ। আপনার সন্তানের উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিন ডি অপরিহার্য। অবশ্যই সকালের নাস্তা খাওয়া উচিত। স্কুলে যাওয়া বাচ্চারা সকালের নাস্তা এড়িয়ে যায়। এটা একেবারেই ভুল।
এড়িয়ে চলুন এসব খাবার:
চিপস, মিষ্টি পানীয়, ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন।
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
আপনার সন্তানকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর পরেও যদি তার বৃদ্ধি না হয়, তাহলে এটি হরমোনের ভারসাম্যহীনতা হতে পারে। শরীরের প্রধান গ্রন্থি পিটুইটারি গ্রন্থিই বাচ্চাদের উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী। আপনার সন্তানের যদি পুষ্টির অভাব বা মানসিক চাপ থাকে তাহলে এটি বৃদ্ধি হরমোন নিঃসরণে বাধা সৃষ্টি করে।
অকাল বয়ঃসন্ধি:
বাচ্চাদের অকাল বয়ঃসন্ধি হলে তাদের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। তাদের হাড়ের বৃদ্ধির প্লেটগুলি আগেই বন্ধ হয়ে যায়।
শারীরিক কার্যকলাপ
আগের প্রজন্মের বাচ্চারা দৌড়াদৌড়ি করে খেলত। কিন্তু এই প্রজন্মের বাচ্চারা মোবাইল ফোনে ডুবে আছে। দৌড়াদৌড়ি, গাছে ওঠা ইত্যাদি বাইরের খেলা বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করে। বাইরে খেলতে গেলে হাড়ের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি সূর্যের আলো থেকে পাওয়া যায়।
ঘুমের অভাব
রাতে গভীর ঘুমের সময় বৃদ্ধি হরমোন নিঃসৃত হয়। আজকাল বাচ্চারা মোবাইলে ভিডিও দেখা, খেলা ইত্যাদি করে রাত জাগে। এর ফলে তাদের বৃদ্ধি হরমোন ঠিকমতো কাজ করে না।
বংশগতি
বাচ্চারা বৃদ্ধি না পেয়ে খাটো হওয়ার কারণ তাদের বংশগতি হতে পারে। এটি তাদের বংশের বৈশিষ্ট্য থেকে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। মাঝে মাঝে বাবা-মা লম্বা হলেও, বাচ্চারা খাটো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর জন্য খারাপ খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়ামের অভাব, দীর্ঘস্থায়ী রোগ, মানসিক চাপ ইত্যাদি দায়ী হতে পারে।
বাচ্চাদের বৃদ্ধির জন্য কী করবেন?
পুষ্টিকর খাবার খাওয়ান। প্রতিদিন বাচ্চাদের খাবারে প্রোটিন থাকা জরুরি। ডিম, দুধ, ডাল, সাথে ফলমূল, সবুজ শাকসবজি বাচ্চাদের প্রতিদিন খাওয়ান। ফ্রাইড রাইস, নুডলসের মতো ফাস্টফুড এড়িয়ে চলা ভালো। প্রতিদিন তাদের ঘুমের সময়সূচী ঠিক রাখতে উৎসাহিত করুন। প্রতিদিন ৮ ঘন্টা ঘুমানো নিশ্চিত করুন।
ঘরে বসে থাকার চেয়ে বাইরে গিয়ে খেলতে উৎসাহিত করুন। স্কুলে কোনও খেলায় অংশগ্রহণ করে তাদের দক্ষতা বিকাশে উৎসাহিত করুন। বাচ্চাদের কোনও ভিটামিনের অভাব আছে কিনা তা পরীক্ষা করে তার জন্য উপযুক্ত খাদ্যাভ্যাস গ্রহণ করুন। এ ব্যাপারে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা ভালো।


