কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে নিমেষের মধ্যে! শুধু ডায়েটে রাখুন এই বিশেষ ফল

ভুল খাওয়ার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ে। শীতকালে অতিরিক্ত গরম খাবার খাওয়া ও জল কম পান করার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, অ্যাসিডিটি ও বদহজমের সমস্যায় মানুষ কষ্ট পায়।

অনেক সময় দেখা যায়, ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাঁড়ি নিয়ে বসে থাকার পরও পেট ঠিকমতো পরিষ্কার হয় না। আপনারও যদি একই ধরনের সমস্যা থাকে। আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্য বা হেমোরয়েডের রোগী হন তবে অবশ্যই ডায়েটে এই একটি ফলকে অন্তর্ভুক্ত করুন। দিনে একবার খেলে, যদি আপনার পেট পরিষ্কার থাকে। ফাইবার সমৃদ্ধ এই ফলগুলি স্বাস্থ্যের জন্যও কম আশীর্বাদের চেয়ে কম নয়। জেনে নিন কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে কোন ফল খাওয়া উচিত?

দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষমতা রয়েছে এই ফলের। শীতকালে আসা সবুজ ও হালকা হলুদ পেয়ারা কোষ্ঠকাঠিন্য ও অর্শ রোগের উপকারী ফল হিসেবে বিবেচিত হয়। পেয়ারা খেলে সকালে কয়েক মিনিটেই পেট পরিষ্কার হয়ে যায়। পেয়ারা পেট এবং হজমের জন্য খুব ভাল ফল হিসাবে বিবেচিত হয়। দিনে যদি প্রতিদিন ১টি করে পেয়ারা খান তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে। ফাইবার সমৃদ্ধ পেয়ারা পাইলসের মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর ফল হিসেবে বিবেচিত।

কোষ্ঠকাঠিন্যের ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপকারী ফল কোনটি?

দিনের যেকোনও সময় একটি পাকা পেয়ারা খান। হালকা কালো লবণ দিয়েও পেয়ারা খেতে পারেন। এটি পেয়ারার স্বাদ অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। পেয়ারা হজম হিসাবে বিবেচিত হয়। তাই যাদের পেট পরিষ্কার নয়, তারা অবশ্যই পেয়ারা খাবেন। হালকা পাকা পেয়ারা খেলে বেশি উপকার পাবেন।

পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা

বলা হয়ে থাকে, পেয়ারার গুণাগুণ আপেলের চেয়েও বেশি। শীতকালে পেয়ারাকে সবচেয়ে উপকারী ফল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আয়রনের ঘাটতি হলে পেয়ারা খাওয়া উচিত। পেয়ারায় রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। কম ক্যালরি থাকায় পেয়ারা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। পেয়ারা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও খুব উপকারী ফল হিসাবে বিবেচিত হয়।