- Home
- Lifestyle
- Lifestyle Tips
- হৃদরোগ প্রতিরোধে নিয়মিত মেনে চলুন এই নিয়ম! হার্ট অ্য়াটাক থেকে বাঁচার উপায় জেনে নিন
হৃদরোগ প্রতিরোধে নিয়মিত মেনে চলুন এই নিয়ম! হার্ট অ্য়াটাক থেকে বাঁচার উপায় জেনে নিন
হৃদরোগ প্রতিরোধে নিয়মিত মেনে চলুন এই নিয়ম! হার্ট অ্য়াটাক থেকে বাঁচার উপায় জেনে নিন

হৃদপিণ্ড হল শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যা রক্ত পাম্প করে। হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে অতিরিক্ত মানসিক চাপ, অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার এবং আলস্যপূর্ণ জীবনযাত্রা পরিহার করতে হবে।
কারণ এগুলো হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা এবং আয়ু কমিয়ে দেয়। সুস্থ হৃদপিণ্ডের জন্য কোন শর্টকাট পথ নেই। কিছু সহজ অভ্যাস অনুসরণ করলে হৃৎপিণ্ড শক্তিশালী হয় এবং দীর্ঘ ও সুস্থ জীবনযাপন সম্ভব।
ডায়াবেটিস, স্থূলতা এবং হৃদরোগের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের একটি প্রধান কারণ হল শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা। গবেষণায় দেখা গেছে, নিষ্ক্রিয়তা হৃদরোগ এবং অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়। যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক কম। ব্যায়াম এবং সক্রিয় থাকা হৃদযন্ত্রের সুস্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।
অতিরিক্ত ভিসারাল অ্যাডিপোজ টিস্যু (VAT) এবং অ্যাবডোমিনাল সাবকিউটেনিয়াস অ্যাডিপোজ টিস্যু (SAT) হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এই চর্বি কমালে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে এবং জীবনের মান উন্নত হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ব্যায়াম হৃদরোগ এবং এর সাথে সম্পর্কিত মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। নিয়মিত ব্যায়াম প্লাজমা লিপোপ্রোটিন, ইনসুলিনের প্রতি সংবেদনশীলতা এবং স্বাভাবিক রক্তচাপ বজায় রাখতে সাহায্য করে। মৃদু ব্যায়ামও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
হৃদরোগ প্রতিরোধে পুষ্টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইসরায়েল হার্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং ইসরায়েল ডায়েটেটিক অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণা অনুসারে, হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী খাবারের মধ্যে রয়েছে:
- কম কার্বোহাইড্রেট, কম চর্বিযুক্ত বা ভূমধ্যসাগরীয় খাবার।
- শাকসবজি, ফল, কফি, দুগ্ধজাত খাবার ইত্যাদি।
- মাছের তেল, ভিটামিন ডি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি।
ধূমপানের ফলে রক্তচাপ এবং হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি পায় এবং রক্তে অক্সিজেন বহন ক্ষমতা কমে যায়। এর ফলে হৃদপিণ্ডের অক্সিজেনের চাহিদা বেড়ে যায়। ধূমপান ত্যাগ করলে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।
হৃদযন্ত্রের সুস্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য। আলামেডা কাউন্টি স্টাডির গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ৪ ঘণ্টার কম ঘুমান তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি যারা ৮ ঘণ্টা ঘুমান তাদের তুলনায় তিনগুণ বেশি। ঘুমের অভাব উচ্চ রক্তচাপ, ক্লান্তি এবং হৃদস্পন্দন বৃদ্ধির কারণ।
মদ্যপান কিছু ক্ষেত্রে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। তবে অতিরিক্ত মদ্যপান বিপরীত প্রভাব ফেলে। তাই মদ্যপান সীমিত রাখা উচিত।
দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ হৃদরোগের সাথে সম্পর্কিত। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যোগব্যায়াম, ধ্যান বা অন্যান্য রিলাক্সেশন কৌশল অনুসরণ করা যেতে পারে।
এই অভ্যাসগুলো নিয়মিত অনুসরণ করলে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় এবং দীর্ঘ ও সুস্থ জীবন যাপন সম্ভব।