সংক্ষিপ্ত

১ জানুয়ারি থেকে মেনে চলুন এই ৫ নিয়ম! বছর শেষে সাফল্যের চরম সীমায় পৌঁছবেনফল্যের পথে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। গরুড় পুরাণ অনুসারে, সাফল্য অর্জনের জন্য পাঁচটি নিয়ম মেনে চলা জরুরি। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই পাঁচটি নিয়ম কি। 
 

গরুড় পুরাণ বলতে অনেকের মনে আসে মৃত্যুর পরে নরকে দেওয়া শাস্তির কথা। মানুষ জীবদ্দশায় যে কর্ম করে তার ফলস্বরূপ মৃত্যুর পরে কেমন শাস্তি পায়, সেই বিষয়ে গরুড় পুরাণে বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। কিন্তু গরুড় পুরাণ শুধু মৃত্যুর পরবর্তী বিষয় নিয়েই আলোচনা করে না, বরং জীবিতকালেও কিভাবে জীবনযাপন করা উচিত সেই বিষয়েও আলোচনা করে। গরুড় পুরাণে মানুষের জীবনযাপনের নিয়মাবলী বর্ণিত আছে। সেইসাথে জীবনে সাফল্য অর্জনের জন্য কি কি নিয়ম মেনে চলা উচিত, সেই বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে। 

প্রাতঃকালে ঘুম থেকে ওঠা.. 

সাফল্য অর্জনের জন্য গরুড় পুরাণে বর্ণিত প্রথম নিয়ম হল প্রাতঃকালে ঘুম থেকে ওঠা। সকলের জন্য দিনে ২৪ ঘণ্টা সময় থাকে। কিন্তু কে কতটা গুণগত সময় ব্যবহার করতে পারে, তার উপর নির্ভর করে তার সাফল্য। সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা ব্যক্তির কাছে স্বাভাবিকভাবেই বেশি সময় থাকে। এই সময়টিকে কাজে লাগিয়ে সাফল্য অর্জন করা সম্ভব। এছাড়া সকালের বিশুদ্ধ বাতাস এবং আলো শরীর ও মনকে সতেজ রাখে। এটি সারাদিন কর্মক্ষম থাকতে সাহায্য করে। সকালে দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা ব্যক্তির আয়ু কমে যায় এবং সাফল্য অর্জনের সম্ভাবনাও কমে যায় বলে গরুড় পুরাণে বর্ণিত আছে। 

ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা..

জীবনে সাফল্য অর্জনের জন্য ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে গরুড় পুরাণে বর্ণিত আছে। বিশেষ করে পরিষ্কার পোশাক পরিধান করা উচিত। পোশাক থেকে কোনও দুর্গন্ধ না আসে সেজন্য ভালো করে ধোয়া পোশাক পরিধান করা উচিত। ময়লা পোশাক পরিধান করলে লক্ষ্মীদেবীর অসন্তুষ্টি হয় বলে গরুড় পুরাণে বর্ণিত আছে। আপনার পোশাকের মাধ্যমেই আপনার সম্মান নির্ধারিত হয়, সেই বিষয়টিও মনে রাখা উচিত। ব্যক্তিগতভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ব্যক্তির সমাজে সম্মান বেশি থাকে। 

প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে

সাফল্য অর্জনের জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে বলে গরুড় পুরাণে বর্ণিত আছে। সাফল্য একদিনে আসে না, সেই ভাবনা ত্যাগ করে প্রতি মুহূর্তে সাফল্যের জন্য চেষ্টা করতে হবে। জীবনে অনেক সময় কঠোর পরিশ্রম করার পরেও প্রতিফল পাওয়া যায় না। কিন্তু তাই বলে হতাশ হয়ে পিছিয়ে যাওয়া উচিত নয়। যতই বাধা আসুক না কেন, হতাশ না হয়ে এগিয়ে গেলে একদিন না একদিন সাফল্য অবশ্যই আসবে বলে গরুড় পুরাণে বর্ণিত আছে। 

তাদের থেকে দূরে থাকুন 

জীবনে সাফল্য অর্জনের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম হল খারাপ সঙ্গ থেকে দূরে থাকা। খারাপ সঙ্গ সর্বদা অকল্যাণ ডেকে আনে, সেই বিষয়টি মনে রাখা উচিত। বন্ধুত্বের কারণে খারাপ ব্যক্তির সাথে থাকলে কখনও সাফল্য অর্জন করা সম্ভব নয়। বিশেষ করে খারাপ অভ্যাস যুক্ত ব্যক্তি এবং যারা আপনাকে সবসময় হতাশ করে, তাদের থেকে দূরে থাকতে হবে বলে গরুড় পুরাণে বর্ণিত আছে। 

অহংকার করা উচিত নয়.. 


মানুষের পতনের অন্যতম কারণ হল অহংকার। অর্থ, জ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে অহংকার করা মোটেও উচিত নয়। সরস্বতী এবং লক্ষ্মীদেবীর আশীর্বাদ পেতে হলে অহংকার করা উচিত নয় বলে গরুড় পুরাণে স্পষ্টভাবে বর্ণিত আছে। যতই জ্ঞানী ব্যক্তি হোক না কেন, অহংকার করলে তার ধ্বংস অনিবার্য। তাই যত উন্নতি হবে, তত বিনয়ী হতে হবে। তাহলেই সাফল্য অর্জন সম্ভব।

বিঃদ্রঃ উপরোক্ত তথ্যগুলি কেবলমাত্র বিভিন্ন পণ্ডিত এবং শাস্ত্রে বর্ণিত তথ্যের উপর ভিত্তি করে প্রদান করা হয়েছে। এতে কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই, পাঠকদের সেই বিষয়টি মনে রাখা উচিত।