Room Heater: কনকনে ঠান্ডায় ঘরকে উষ্ণ ও আরামদায়ক রাখতে রুম হিটার এক জাদুকরী ভূমিকা পালন করে ঠিকই, তবে সামান্য অসাবধানতায় এটি ডেকে আনতে পারে ভয়াবহ বিপদ। দীর্ঘক্ষণ রুম হিটার ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

Room Heater Risks: শীতে রুম হিটার ব্যবহার করা আরামদায়ক হলেও কিছু ঝুঁকি আছে।যেমন আগুন লাগা, অক্সিজেনের অভাব ও শুষ্ক ত্বক। নিরাপদ থাকতে হিটার থেকে দাহ্য বস্তু দূরে রাখুন, পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল নিশ্চিত করতে জানালা সামান্য খোলা রাখুন, রাতে ব্যবহারের আগে বন্ধ করুন এবং দীর্ঘক্ষণ একটানা চালাবেন না, বিশেষ করে বদ্ধ ঘরে। অয়েল হিটার তুলনামূলক নিরাপদ কারণ এটি বাতাস কম শুষ্ক করে, কিন্তু সতর্কতা জরুরি।

রুম হিটারের সম্ভাব্য ঝুঁকি-

  • অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি: হিটারের কাছে কাপড়, পর্দা, আসবাবপত্র রাখলে বা এটি উল্টে গেলে আগুন লেগে যেতে পারে।
  • অক্সিজেনের অভাব ও কার্বন মনোক্সাইড: গ্যাস বা কিছু ইলেকট্রিক হিটার ঘর থেকে অক্সিজেন কমিয়ে কার্বন মনোক্সাইড তৈরি করতে পারে, যা শ্বাসকষ্ট ও বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে।
  • স্বাস্থ্য সমস্যা: হিটারের গরম বাতাস ত্বক, চোখ ও গলা শুষ্ক করে দেয়, যা চুলকানি ও শ্বাসকষ্ট বাড়াতে পারে। মাথাব্যথা, অনিদ্রা ও শ্বাসকষ্টের সমস্যাও হতে পারে।

নিরাপদে ব্যবহারের নিয়ম-

  • বায়ু চলাচল: হিটার ব্যবহারের সময় দরজা বা জানালা সামান্য খোলা রাখুন, যাতে তাজা বাতাস আসতে পারে।
  • দূরত্ব বজায় রাখা: হিটার থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরে দাহ্য বস্তু, পর্দা, আসবাবপত্র ইত্যাদি রাখুন।
  • সঠিক স্থানে রাখা: হিটারকে সমতল ও অগ্নিরোধী জায়গায় রাখুন, যাতে উল্টে না যায়।
  • ব্যবহারের সময়: ঘুমাতে যাওয়ার আগে বা ঘর থেকে বের হওয়ার আগে অবশ্যই হিটার বন্ধ করুন ও প্লাগ খুলে রাখুন।
  • অতিরিক্ত ব্যবহার এড়ানো: একটানা অনেকক্ষণ চালাবেন না; ১-২ ঘণ্টা পর পর বন্ধ রাখুন।
  • হিটারের ধরন: অয়েল-ফিলড হিটারগুলো কম বাতাস শুষ্ক করে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলে বিবেচিত হয়।
  • পরিষ্কার রাখা: ব্যবহারের আগে হিটারটি পরিষ্কার করে নিন, কারণ ধুলো জমে আগুন লাগার ঝুঁকি বাড়ে।

সঠিক সতর্কতা মেনে চললে রুম হিটার শীতে আরাম দিতে পারে, কিন্তু অবহেলা করলে তা বিপজ্জনক হতে পারে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।