ব্যস্ত জীবনযাত্রার কারণে মানসিক চাপ এখন একটি সাধারণ সমস্যা। উচ্চ মানসিক চাপ শরীরে নানাবিধ স্বাস্থ্য সমস্যা ঘটায়, লক্ষণ দেখলে কিন্তু সাবধান হতে হবে..

ব্যস্ত জীবনযাত্রার কারণে আজকাল অনেক মানুষের মধ্যেই মানসিক চাপ একটি সাধারণ সমস্যা। শরীরে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেলে নানাবিধ স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। অনেকেই লক্ষণগুলি দেখলেও এটিকে গুরুত্ব সহকারে নেন না। আপনার যদি উচ্চ মানসিক চাপ থাকে তবে আপনার শরীর যে দশটি লক্ষণ প্রকাশ করতে পারে সে সম্পর্কে এখানে আলোচনা করা হল।

মাঝেমধ্যেই মাথাব্যথা

মাংসপেশীর টান এবং মস্তিষ্কের রাসায়নিকের পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট উত্তেজনা প্রায়শই মাথাব্যথা বা মাইগ্রেনের কারণ হয়। আপনার যদি কোন স্পষ্ট কারণ ছাড়াই ক্রমাগত বা মাঝেমধ্যেই মাথাব্যথা হয়, তবে এটি উচ্চ মানসিক চাপের আরেকটি লক্ষণ।

পাচনতন্ত্রের সমস্যা

উচ্চ মানসিক চাপ অন্ত্রের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে এবং পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া বা পেটে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। এটিও উচ্চ মানসিক চাপের লক্ষণ হতে পারে।

ঘুমের সমস্যা

উচ্চ মানসিক চাপের আরেকটি লক্ষণ হল ঘুমের সমস্যা। ঘুমাতে অসুবিধা, ঘুমের মধ্যে ঘন ঘন জেগে ওঠা, বা রাতভর ঘুমানোর পরেও ক্লান্তি অনুভব করা উচ্চ মানসিক চাপের লক্ষণ।

মেজাজের পরিবর্তন

ছোটখাটো বিষয়েও অতিরিক্ত রাগ বা দুঃখ অনুভব করা আরেকটি লক্ষণ। মেজাজের পরিবর্তনগুলি শরীরের ক্রমাগত মানসিক চাপের প্রতিক্রিয়ার লক্ষণ।

ক্ষুধামন্দা

মানসিক চাপ ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণকারী হরমোনগুলিকে প্রভাবিত করে এবং খাবারে আগ্রহ কমিয়ে দেয় বা অতিরিক্ত খাওয়ার দিকে ঠেলে দেয়। ক্ষুধামন্দাও উচ্চ মানসিক চাপের আরেকটি লক্ষণ।

সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা, কাজ পিছিয়ে দেওয়া

গুরুত্বপূর্ণ কাজ পিছিয়ে দেওয়া বা দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া শুধু অলসতা নয়, মানসিক চাপের লক্ষণও হতে পারে।

ক্লান্তি

দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ অতিরিক্ত ক্লান্তির কারণ হতে পারে। সবসময় ক্লান্তি অনুভব করাকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস

আপনার যদি ঘন ঘন সর্দি-কাশি হয় বা অসুস্থতা থেকে সেরে উঠতে বেশি সময় লাগে, তবে এর কারণ মানসিক চাপ হতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে এবং শরীরকে সংক্রমণের ঝুঁকিতে ফেলে।

মাংসপেশীর টান এবং ব্যথা

কাঁধ, ঘাড় বা পিঠে ক্রমাগত মাংসপেশীর টান মানসিক চাপের শারীরিক প্রতিক্রিয়া।

মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে অসুবিধা

উচ্চ মানসিক চাপ জ্ঞানীয় কার্যকলাপকে ব্যাহত করে এবং স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণকে প্রভাবিত করে।