Other Lifestyle Tips: ধ্যান ও মননশীলতার অনুশীলন মানসিক চাপ কমিয়ে মনোযোগ বাড়াতে সহায়তা করে। এতে মন শান্ত থাকে ও অকারণে উত্তেজিত হয় না। ফলে প্রতিদিন কয়েক মিনিট ধ্যান করলে মন ভালো থাকবে ও সহজেই যেকোনও কাজে মনোনিবেশ করতে পারবেন।

Other Lifestyle Tips: আজকের গতিশীল জীবনে বিনোদনের এত আয়োজনের মাঝে মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। কোনও কাজ করতে বসলেই মন চলে যাচ্ছে বারবার অন্যদিকে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবন।

আজকালকার দিনে কাজের চাপে বা নাইট ডিউটি করতে করতে রাতের ঘুম প্রায় উড়েই গেছে, প্রায় হয় না বললেই চলে। কিন্তু সুস্থ্য স্বাভাবিক জীবনে প্রতিদিন ৭-৯ ঘণ্টা ঘুম মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়, যা মনোযোগ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। পর্যাপ্ত ঘুম হলে একটুতেই ভুলে যাবার প্রবণতা কমে, স্মৃতিশক্তি বাড়ে। ঠিকমত দেখবেন শরীর-মন অনেকটাই চাঙ্গা থাকবে।

নিয়মিত ব্যায়াম করা শরীর এর জন্য খুব প্রয়োজন। শারীরিক কার্যক্রম মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, যা অক্সিজেন ও পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে। মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন ঠিক মতো হলে মেজাজ ভালো থাকে এবং যেকোনও কাজেই সহজে মনোনিবেশ করা যায়।

বয়ঃসন্ধিকালে অথবা বয়ঃসন্ধি পেরোনোর সময়ে অবসাদ গ্রাস করছে কিশোর-কিশোরীদের। এর থেকে রেহাই পেতে নানা রকম ওষুধও খাচ্ছেন অনেকে। তবে যোগাসন প্রশিক্ষকেরা বলেন, মন যতই খারাপ থাক অথবা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা যতই বাড়ুক, সহজ এক যোগাসনেই তার নিরাময় সম্ভব। একরাশ দুশ্চিন্তা নিয়ে মেডিটেশনে মন স্থির করা সম্ভব না-ও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বিকল্প হতে পারে ‘সিটেড ঈগল পোজ়’। চেয়ারে বসে গরুড়াসনের এক বিশেষ পদ্ধতি।

কী ভাবে করবেন জানুন:

১) প্রথমে চেয়ারে সোজা হয়ে বসুন। পিঠ টানটান থাকবে।

২) ওই অবস্থায় স্বাভাবিক ভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে হবে।

৩) এর পর দু’হাত সামনের দিকে প্রসারিত করে কনুই ভাঁজ করুন।

৪) ডান হাতের উপর বাঁ হাত পেঁচিয়ে ধরুন। দু’হাতের তালু থাকবে প্রণামের ভঙ্গিতে।

৫) লম্বা শ্বাস নিয়ে এই ভঙ্গি ধরে রাখতে হবে অন্তত ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড। তার পর শ্বাস ছেড়ে আবার আগের অবস্থায় ফিরে যেতে হবে।

হাতের পেশির ব্যায়াম হবে। কাঁধ ও হাতে ব্যথা থাকলে তা কমে যাবে। মনঃসংযোগ বাড়বে, মন স্থির হবে।দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ বেড়ে গেলে নিয়মিত এই আসন অভ্যাসে সুফল পেতে পারেন।

মানসিক চাপ কমবে। দিনভর কাজের শেষে ৫ মিনিটের জন্য হলেও আসনটি করলে ক্লান্তি ভাব দূর হবে। সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে।

নিয়মিত আসনটি অভ্যাস করলে ফুসফুসও ভাল থাকবে। শ্বাসজনিত রোগের ঝুঁকি কমবে।

তবে ভার্টিগোর সমস্যা থাকলে আসনটি না করাই ভাল।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।