জগন্নাথ মন্দির: ওড়িশার পুরীতে অবস্থিত ভগবান জগন্নাথের মন্দির হিন্দুদের পবিত্র চার ধামের মধ্যে একটি। এখানকার রথযাত্রা বিশ্ব বিখ্যাত। এই রথযাত্রা দেখার জন্য লক্ষ লক্ষ ভক্ত এখানে আসেন।

জগন্নাথ মন্দিরের আকর্ষণীয় তথ্য: ধর্মগ্রন্থে হিন্দুদের ৪ টি সবচেয়ে পবিত্র তীর্থস্থানের বর্ণনা পাওয়া যায়, যার মধ্যে জগন্নাথ পুরী অন্যতম। এই মন্দিরটি ওড়িশার পুরীতে অবস্থিত, তাই এটি জগন্নাথপুরী নামে পরিচিত। এই মন্দিরটিতে অনেক রহস্য লুকিয়ে আছে, যা আজও কেউ বুঝতে পারেনি। এখানে প্রতি বছর আষাঢ় মাসে যে রথযাত্রা হয় তাও খুবই বিশেষ, যা দেখার জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ এখানে জড়ো হয়। এই বছর এই রথযাত্রা ২৭ জুন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই মন্দিরে প্রবেশের জন্য অনেক নিয়ম আছে, যা পূরণ করতে হয়। আরও জানুন কি কি সেই নিয়ম...

কে কে জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশ করতে পারে?

জগন্নাথ মন্দির সম্পর্কে সবচেয়ে বড় কথা হল এখানে শুধুমাত্র হিন্দুরাই প্রবেশ করতে পারেন। অন্য কোন ধর্মের ব্যক্তিকে এখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না, সে বিদেশী ভক্তই হোক না কেন। এই নিয়ম এতটাই কঠোর যে ১৯৮৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকেও জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি কারণ তিনি একজন পারসি ধর্মের ব্যক্তি ফিরোজ গান্ধীকে বিয়ে করেছিলেন।

এই ৩ ধর্মের লোকদের জন্য ছাড়

জগন্নাথ মন্দিরে হিন্দু ছাড়াও আরও ৩ টি ধর্মের লোকদের প্রবেশ করার অনুমতি রয়েছে। এই ধর্মগুলি হল - শিখ, বৌদ্ধ এবং জৈন। এই তিন ধর্মের লোকদের জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে কারণ এগুলি কোন আলাদা ধর্ম নয় বরং হিন্দু ধর্ম থেকে উদ্ভূত বিভিন্ন সম্প্রদায় যা পরবর্তীকালে ধর্ম হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। অর্থাৎ হিন্দু ছাড়াও শিখ, বৌদ্ধ এবং জৈন ধর্মের অনুসারীরাও সহজেই জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেন।

কবে জগন্নাথ মন্দিরের বাহুড়া যাত্রা?

২৭ জুন ভগবান জগন্নাথের বিখ্যাত রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এখন ভগবান জগন্নাথ ৮ দিন ধরে তাঁর মাসির বাড়ি অর্থাৎ গুন্ডিচা মন্দিরে থাকবেন। ভগবান জগন্নাথ ৫ জুলাই আবার রথে চড়ে নিজের মন্দিরে ফিরে আসবেন। ফিরতি এই যাত্রাকে বাহুড়া যাত্রা বলা হয়। বাহুড়া যাত্রার সময়ও অনেক ঐতিহ্য পালন করা হয় যা খুবই আকর্ষণীয়।