Home Special Tips: রান্না ঘরে বেড়েছে আরশোলার উপদ্রপ, রান্নাঘরে খাওয়ার খোলা রাখার উপায় নেই, এই সমস্যার সমাধান করতে পারে ঘরোয়া কয়েকটি টিপস। বাজারের জোরালো গন্ধওয়ালা কেমিক্যাল ব্যবহার না করে ঘরোয়া ছোট ছোট কয়েকটি পদ্ধতি করে দেখুন।
Home Special Tips: আরশোলার উপদ্রব কমানো এবং রান্নাঘর পরিষ্কার ও নিরাপদ রাখতে নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, খাবার ও আবর্জনা সঠিকভাবে রাখা, এবং কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করা জরুরি। প্রতিদিনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মধ্যে রয়েছে রান্নাঘরের মেঝে শুকনো রাখা, রাতে খাবার খোলা না রাখা এবং ডাস্টবিন খালি করা। এছাড়াও, লেবু ও জল মিশিয়ে স্প্রে করা, এবং ফাটলগুলো সিল করে দেওয়া আরশোলা তাড়ানোর কার্যকর উপায়।
* পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার উপায়:
নিয়মিত পরিষ্কার করুন: রান্নাঘরের মেঝে, কাউন্টার এবং সিঙ্ক পরিষ্কার রাখুন। রাতে খাবার বা কোনো অংশ যেন খোলা না থাকে।
আবর্জনা ব্যবস্থাপনা: প্রতিদিন ডাস্টবিন খালি করুন এবং ঢাকনাযুক্ত বিন ব্যবহার করুন, বিশেষত রাতে।
পোষ্যদের খাবার: পোষা প্রাণীদের খাবার ও জলের পাত্রও রাতে ঢেকে রাখুন।
* আরশোলা তাড়ানোর সহজ ঘরোয়া উপায় :
লেবুর জল: স্প্রে বোতলে জল এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে রান্নাঘরের কাউন্টার, ক্যাবিনেট বা সিঙ্কে স্প্রে করুন। এটি আরশোলা তাড়াতে সাহায্য করে এবং জীবাণুমুক্তও রাখে।
বোরিক পাউডার: রান্নাঘর থেকে আটশোলা দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন বোরিক পাউডার। এক চামচ বড়িক পাউডার ও তার মধ্যে ময়দা এবং চিনি মিশিয়ে নিন। এরপর সেগুলো দিয়ে ছোট ছোট বল তৈরি করুন। এবার তা ঘরের কোণে বা যেখানে আরশোলার উপদ্রব বেশি সেখানে রেখে দিন। আরশোলা এগুলো খাওয়ার অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যাবে। তবে ঘরের শিশু ও পোষ্যদের থেকে এদিকে দূরে রাখুন।
লবঙ্গ ও তেজপাতা: আরশোলার তীব্র গন্ধ পছন্দ করেনা। এর জন্য রান্নাঘরের আলমারি, মসলার ড্রয়ার অথবা খাবারের আলমারির মধ্যে শুকনো লবঙ্গ তেজপাতা রাখলে ধারে কাছে ঘেষবেনা আরশোলা।
ফাটল মেরামত: রান্নাঘরের মেঝে, দেওয়াল বা কোণায় থাকা যেকোনো ফাটল বা ছিদ্র বন্ধ করে দিন। আরশোলা এসব জায়গায় লুকিয়ে থাকতে পছন্দ করে।
* অতিরিক্ত টিপস
ভেজা জায়গা এড়িয়ে চলুন: ভেজা বা স্যাঁতেসেঁতে জায়গা আরশোলার জন্য অনুকূল, তাই রান্নাঘর শুকনো রাখুন।
খাবার ঢাকা দিন: বাইরে খাবার বা খাবার সম্পর্কিত কোনো জিনিস খোলা রাখবেন না, বিশেষ করে রাতে। এটি আরশোলা এবং অন্যান্য কীট-পতঙ্গের আকর্ষণ এড়াতে সাহায্য করবে।
গভীর পরিচ্ছন্নতা: গভীর রাতে যখন মানুষ ঘুমিয়ে থাকে, তখন আরশোলা সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে। তাই রাতে ঘুমানোর আগে এই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলো নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


