সংক্ষিপ্ত
গণেশের স্ত্রী নয় কলা বউ! তাহলে কেন শাড়ি পরিয়ে পাশে রাখা হয় নব পত্রিকাকে? এই রহস্য জানেন না অনেকেই
চলছে দুর্গাপুজো। অষ্টমী-নবমী পড়েছে একদিনে। এই শ্রেষ্ঠ উৎসবের জন্য সাড়াটা বছর অপেক্ষা করে থাকেন আপামর বাঙালিরা। মায়ের অপরূপ শোভা দেখতে প্যান্ডেলে, প্যান্ডেলে ভিড় জমান আট থেকে আশি।
দুর্গাপুজোর অঢেল নিয়ম কানুন রয়েছে। এই কয়েকটা দিন সব নিয়ম মেনেই মায়ের আরাধনা করা হয়। মায়ের সঙ্গে পুজো করা হয় নবপত্রিকাকেও। পুজোর মণ্ডপে কলা পাতায় শাড়ি পরিয়ে নব পত্রিকা সাজানো হয়। পুজোর চারটে দিন গণেশের পাশেই রাখা হয় নবপত্রিকাকে।
এই চারদিন গণেশের পাশেই থাকে কলা বউ। অনেকেই বলেন গণেশের স্ত্রী হলেন কলা বউ। সপ্তমীর দিনে কলা বউকে স্নান করানো হয়। পরে নতুন বউয়ের সাজে গণেশের পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় নবপত্রিকাকে। পুজোর চারদিনে কলা বউকে পুজো করা হয়।
হিন্দুধর্ম শাস্ত্র অনুযায়ী স্ত্রীয়ের স্থান হয় স্বামীর বাম দিকে। কিন্তু ভাল করে দেখলে বোঝা যায় কলা বউ কিন্তু গণেশের বাম দিকে থাকেন না। গণেশের ডান দিকে থাকে নবপত্রিকা।
আসলে কলা বউ হল গণেশের স্ত্রী নয়। মা দুর্গারই আরেক রূপ হল নব পত্রিকা। প্রকৃতির প্রতীক হলেন মা দুর্গা। তাই প্রকৃতির পুজো করতে মা দুর্গাকে নবপত্রিকা রূপে পুজো করা হয়।
নবপত্রিকার কথা হল ৯টা পাতা। এই ৯ পাতার মধ্যে শুধুই কলাপাতা থাকে না। যেহেতু শাড়ি দিয়ে ঢাকা থাকে তাই শুধু এতে কলা পাতা দেখা যায়। এই নবপত্রিকার মধ্যে থাকে কলাগাছ, ডালিমের ডাল, ধান, হলুদ, মানকচু, সাধারণ কচু এবং বেল, অশোক, জয়ন্তী গাছের ডাল । হলুদ সুতো আর অপরাজিতা দিয়ে বাঁধা হয় এই ন' টি পাতা। মা দুর্গার আরেক রূপ হিসাবে পুজো করা হয় কলাবউকে। তাই কলা বউ গণেশের স্ত্রী, এই ধারনা একেবারেই ভুল।