সংক্ষিপ্ত

ভয়ে কাটিয়ে খোলা মঞ্চেও কথা বলুন নিশ্চিন্তে! জেনে নিন বিশেষ পাবলিক স্পিকিং টিপস

মঞ্চে বক্তৃতা সহজ কাজ নয়। অনেকেই, যত বড় ব্যক্তিত্বই হোন না কেন, মঞ্চে উঠলেই ভয় পেয়ে যান। মঞ্চে বক্তৃতা দেওয়ার ভয় উদ্বেগের একটি সাধারণ রূপ। হালকা নার্ভাসনেস থেকে শুরু করে ভয় ও আতঙ্কে পঙ্গু হয়ে যেতে পারে। এই ভয়ের কারণে অনেকে মঞ্চে বক্তৃতা দেওয়ার পরিস্থিতি এড়িয়ে চলেন। ছাত্রজীবন থেকেই অনেকে এই সমস্যার সম্মুখীন হন। মঞ্চে ভয় ও উদ্বেগ ছাড়াই বক্তৃতা দেওয়ার জন্য কিছু কার্যকরী টিপস এখানে আলোচনা করা হল।

আপনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন। আপনি যা বলতে যাচ্ছেন সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকলে, ভুল করার বা বিষয়বস্তু থেকে বিচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। ভুল হলেও দ্রুত সামলে নিতে পারবেন। শ্রোতারা কী ধরনের প্রশ্ন করতে পারে তা আগে থেকে চিন্তা করে উত্তর প্রস্তুত রাখুন।

মঞ্চে ওঠার আগে অনুশীলন অপরিহার্য। আপনি যে তথ্য উপস্থাপন করতে চান তা পরিকল্পনা করুন। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে অনুশীলন করুন। অথবা আপনার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সামনে বক্তৃতা দিয়ে অনুশীলন করতে পারেন। এভাবে অনুশীলন করলে আপনার ভুলগুলো ধরতে পারবেন এবং সেগুলো সংশোধন করতে পারবেন।

মঞ্চে শ্রোতাদের দেখে অনেকেই ভয় পেয়ে যেতে পারেন। আপনি কেন ভয় পাচ্ছেন তার একটি তালিকা তৈরি করুন এবং তারপর বিকল্প ফলাফলগুলি চিহ্নিত করুন। এতে আপনার বক্তৃতার উপর মনোযোগ দিতে সাহায্য করবে।

আপনার বক্তৃতা ভালো হবে এবং শ্রোতারা তা উপভোগ করবে এমন কল্পনা করুন। সর্বদা ইতিবাচক চিন্তাভাবনা রাখুন। এটি আপনার নেতিবাচক চিন্তাভাবনা কমাতে এবং উদ্বেগ দূর করতে সাহায্য করবে।

মঞ্চে ওঠার আগে গভীর শ্বাস নিন। বক্তৃতার আগে এবং বক্তৃতার সময় গভীর শ্বাস আপনার উত্তেজনা কমাতে এবং শান্ত থাকতে সাহায্য করবে। আপনার বক্তৃতার বিষয়বস্তুর প্রতি মনোযোগ দিন। বিশেষ করে নতুন তথ্যের প্রতি শ্রোতারা বেশি মনোযোগী হন। তাই আপনার বক্তব্যের উপর মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

মঞ্চে বক্তৃতা দিতে গিয়ে হঠাৎ কিছু ভুলে গেলে বা কিছু বাদ পড়ে গেলে ভয় পাবেন না। আপনি যদি উত্তেজিত হতে শুরু করেন, তাহলে আপনার পরবর্তী কথাগুলোও ভুলে যেতে পারেন। তাই কিছুক্ষণ গভীর শ্বাস নিন, শান্ত হোন এবং আবার বক্তৃতা শুরু করুন। বক্তৃতার সময় ভুল হলে তা নিয়ে চিন্তা করবেন না। কারণ সবাই ভুল করে। আপনার দক্ষতা উন্নত করার একটি সুযোগ হিসেবে এটিকে গ্রহণ করুন।

কোন বক্তৃতা শেষ হওয়ার পর তা সেখানেই ছেড়ে দেবেন না। বক্তৃতা শেষ হওয়ার পর তা পর্যালোচনা করুন। কোথায় কি পরিবর্তন আনা যেতে পারে, কিভাবে আরও উন্নত করা যেতে পারে তা চিন্তা করুন। আপনার ভুলগুলো সংশোধন করে আপনার বক্তৃতার মান আরও উন্নত করুন।