সংক্ষিপ্ত
ত্বকের প্রিয় বন্ধু! সন্ধেবেলায় পাতে দিলে পাবেন এই অজানা উপাকারও
পেঁপে খেলে শরীরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়। এটি একটি কম ক্যালোরিযুক্ত ফল। এটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি পাওয়া যায় এবং এতে প্যাপাইন নামক একটি এনজাইম রয়েছে যা পাচনতন্ত্রকে পুষ্টিকে আরও ভালভাবে শোষণে সহায়তা করে।
পেঁপে খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে, যার কারণে খাবার গ্রহণের পরিমাণ কমে গেলেও ওজন কমতে শুরু করে। একই সঙ্গে পেঁপে হজমের জন্যও ভাল। ওজন কমানোর চেষ্টা করে থাকলে এবং পেটের মেদ ঝরাতে ভীষণ উপকারী পেঁপে।
ওজন কমানোর জন্য সকালের ব্রেফাস্ট হিসেবে পেঁপে খাওয়া যেতে পারে। সকালটা শুরু করা যায় শুধু পেঁপে খেয়েই। এক প্লেট তাজা পেঁপে কুচি করে খান। এটি বিপাককে বাড়িয়ে তুলবে এবং ফ্যাট বার্ন প্রক্রিয়া সারা দিন অব্যাহত থাকবে।
স্মুদি তৈরি করতে পারেন
সকালের ব্রেকফাস্টে পেঁপে খেতে ইচ্ছে না হলে স্মুদি বানিয়ে পান করতে পারেন। পেঁপের স্মুদি তৈরি করতে পেঁপে কেটে এক কাপ পানি বা আমন্ড দুধের সঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। এই স্মুদির প্রভাব বাড়ানোর জন্য, ফ্ল্যাকসিড বা চিয়া বীজ এতে যুক্ত করা যেতে পারে। বীজ যোগ করলে ফাইবারের পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে দীর্ঘ সময় ক্ষুধা লাগে না এবং পেট ভরা থাকে।
পেঁপে ও পুদিনার রস
ওজন কমাতে পান করতে পারেন পেঁপে ও পুদিনার রস বা ডিটক্স পানীয়। এই পানীয় তৈরি ও পান করলে পরিপাকতন্ত্র এর সুফল পায়। পেঁপে পিষে তাতে পুদিনা পাতা যোগ করুন এবং এটি মিশ্রিত করুন। দুটো জিনিস একসঙ্গে পান করলে হজমে উন্নতি হয় এবং একই সঙ্গে পাকস্থলীতে কিউলিংকের প্রভাব এত আলাদা হয়ে যায়।
স্যালাডের মতো করে খাওয়া যায়
সালাদ তৈরির জন্যও পেঁপে একটি ভালো ফল। সবুজ শাকসবজি, শসা ও লেবুর রস মিশিয়ে পেঁপে ভালো করে টস করুন। এই পেঁপের সালাদ খাবারের সঙ্গেও খাওয়া যায় অথবা একা একা খাওয়া যায়।
দিনের তিনটি প্রধান খাবার ছাড়াও এর মাঝে স্ন্যাকস খাওয়া হয়। তেমনি সন্ধ্যার খাবারেও পেঁপে খেতে পারেন। সন্ধ্যায় যদি পেঁপে কেটে খাওয়া হয়, তাহলে রাতের খাবারের আগে আর খিদে থাকে না এবং অস্বাস্থ্যকর জিনিস খাওয়ার ইচ্ছাও কমে যায়।
কতটুকু পেঁপে খাবেন
মনে রাখবেন যে কোনও কিছুর অত্যধিক পরিমাণে খারাপ হয় এবং পেঁপেও এর থেকে মুক্ত হয় না। এজন্য পেঁপেও সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। বেশি পেঁপে খাওয়া হলে পেট খারাপ হতে পারে বা অতিরিক্ত পরিমাণে ফাইবার গ্রহণের ফলে পেট ব্যথা হতে পারে। একবারে মাত্র এক কাপ পেঁপে খাওয়া উচিত।