Lifestyle News: হঠাৎ কাচ বা আয়না ভাঙা, দুধ উথলে পড়া, পুজোর প্রদীপ নিভে যাওয়া ইত্যাদি ঘটনাগুলি সাধারণ কাকতালীয় ঘটনা মনে হলেও, এগুলির পেছনে লুকিয়ে রয়েছে অশুভ ইঙ্গিত। সাবধান হওয়া প্রয়োজন। 

Lifestyle Tips: দৈনন্দিন জীবনে ঘটে যাওয়া অনেক সাধারণ ঘটনাই হতে পারে আসন্ন কোনও বিপদ বা অশুভ ঘটনার পূর্বাভাস। বাস্তুশাস্ত্র এবং জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, এমন কিছু দৈনন্দিন ঘটনা রয়েছে, যেগুলি নিছক কাকতালীয় দুর্ঘটনা মনে হলেও তা আসলে একটি ইশারা। এই ইঙ্গিতগুলির মাধ্যমে শুভ শক্তি আমাদের সতর্ক করেন, যেন আমরা আগাম প্রস্তুতি নিতে পারি।

ঘরে কিছু ভেঙে যাওয়া, দুধ উপচে পড়া কিংবা পুজোর প্রদীপ নিভে যাওয়া—এই ছোট ছোট ঘটনাগুলি বাস্তুশাস্ত্র গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বহন করে। আসুন জেনে নিই, কোন কোন দৈনন্দিন ঘটনা হতে পারে অশুভ বার্তার ইঙ্গিত এবং সেই পরিস্থিতিতে কী করণীয়।

১। কাচের গ্লাস বা জিনিসপত্র ভেঙে যাওয়া

হাত থেকে কাচের কাপ, গ্লাস বা বোতল পড়ে ভেঙে গেলে তা অশুভ। শারীরিক অসুস্থতা, মানসিক চাপ বা অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্ভাবনা আসতে পারে।

করনীয়: গরিব-দুঃস্থদের খাবার বা পোশাক দান করুন। সুরাহা হতে পারে।

২। দুধ বা চা ফুটে উথলে যাওয়া

বারবার দুধ উপচে গেলে বা উথলে পড়ে গেলে তা চন্দ্রদোষের লক্ষণ। বকা হয় এতে দাম্পত্য কলহ, আর্থিক সঙ্কট আসতে পারে পরিবারে। মনের মধ্যে নেগেটিভ চিন্তাভাবনা ঘিরে ফেলতে পারে।

৩। আয়না বা জানালার কাচ ভেঙে যাওয়া

আচমকা কাচ বা আয়না ভেঙে যাওয়াও সংকটের ইঙ্গিত। এর ফলে অপ্রত্যাশিত ঝামেলা, দুর্ঘটনা বা খারাপ সংবাদ শুনতে পারেন। এমনকি আসন্ন সংকট এড়ানো কঠিন হয়ে পড়তে পারে।

করনীয়: পুজোঘরে প্রদীপ জ্বালান এবং ঈশ্বরকে স্মরণ করুন।

৪। ছাদে বা উঠোনে হাড়ের টুকরো পাওয়া

হাড়ের টুকরো যদি হঠাৎ আপনার ছাদে বা উঠোনে পড়ে থাকতে দেখা যায়, তাহলে তা কখনও শুভ বলে মনে করা হয় না। এর অর্থ হল যে শীঘ্রই কিছু অশুভ খবর শুনতে পারেন। একই সময়ে, সিলিংয়ের প্লাস্টার ভাঙাও অশুভ।

৫। পুজোর থালা পড়ে যাওয়া বা প্রদীপ নিভে যাওয়া

যদি অকারণে পুজোর উপকরণ হাত থেকে পড়ে যায়, পুজো দিতে গিয়ে বা প্রদীপ পড়ে যায় বা নিভে যায়, সেটি অশুভ ইঙ্গিত ধরা হয়। এর ফলে পরিবারে ধর্মীয় সংকট, মানসিক অস্থিরতা, পারিবারিক বিপর্যয়দেখা দিতে পারে।

করনীয় : পবিত্রতা বজায় রেখে পুণরায় পুজো করুন এবং কিছু দান করুন।

সাবধানতা

প্রতিটি অশুভ ঘটনার পরে সতর্কতা অবলম্বন করুন, অশান্ত না হয়ে শান্ত মনে প্রার্থনা করুন। নিয়মিত ঘর পরিষ্কার ও পবিত্র রাখুন। দান ও পুণ্যকর্মে যুক্ত থাকুন—এগুলো নেতিবাচক শক্তির প্রভাব কমায়।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।