মায়াপুর ঘুরতে গেলে নবদ্বীপের মহাপ্রভু বাড়ির মন্দির অবশ্যই ঘুরে আসুন। এই মন্দিরে মাটির উনুনে কাঠের জ্বালে রান্না করা হয় ভোগ। দর্শন, আরতি ও প্রসাদ গ্রহণের অনন্য অভিজ্ঞতা পেতে আগেই যোগাযোগ করুন মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে।
নবদ্বীপে মহাপ্রভু মন্দিরে ভোগ পেতে হলে আপনাকে সরাসরি মন্দিরে গিয়ে প্রসাদের সময় জানতে হবে। সাধারণত সকাল ও সন্ধ্যায় ভোগ দেওয়া হয়, যেখানে সাধারণ ভক্তরাও লাইন দিয়ে প্রসাদ (যেমন লুচি, তরকারি, মিষ্টি) পান, যা নির্দিষ্ট সময়ে পাওয়া যায়; বিশেষত উৎসবের দিনে ভোগের আয়োজন যেমন 'ছাপ্পান্ন ভোগ' হলে প্রসাদ পাওয়ার ব্যবস্থা ভিন্ন হয়, যা মূলত মহাপ্রভুর আবির্ভাব তিথির মতো বিশেষ দিনে দেখা যায়,আর প্রসাদের সময় জানতে মন্দিরের সেবায়েতদের সাথে যোগাযোগ করাই শ্রেয়।
* কীভাবে ভোগ পাবেন (সাধারণ নিয়ম):
** মন্দির দর্শন: নবদ্বীপের মহাপ্রভু মন্দির, বিশেষত ধামেশ্বর মহাপ্রভু মন্দির, সরু গলি দিয়ে যেতে হয় এবং এর মূল আকর্ষণ সোনার গৌরাঙ্গ বিগ্রহ দর্শন।
** ভোগের সময়: মন্দিরে সাধারণত দুটি প্রধান ভোগ হয় - সকালের ভোগ ও বিকেলের বা সন্ধ্যার ভোগ। আপনাকে মন্দিরের নির্দিষ্ট সময়ে যেতে হবে।
** লাইন দিন: ভোগ বিতরণের সময় হলে, ভক্তরা একটি নির্দিষ্ট লাইনে দাঁড়ান।
** প্রসাদ গ্রহণ: ভক্তদের সাধারণত থালায় বা প্যাকেটে প্রসাদ (যেমন লুচি, আলুভাজা, মিষ্টি, পায়েস) দেওয়া হয়।
** অনুদান: অনেক মন্দিরে প্রসাদ পাওয়ার জন্য সামান্য অনুদান (দান) করার ব্যবস্থা থাকে, যা ঐচ্ছিক হলেও মন্দির পরিচালনায় সাহায্য করে।
** বিশেষ দ্রষ্টব্য: উৎসবের দিন: দোলযাত্রা, জন্মাষ্টমী বা মহাপ্রভুর আবির্ভাব তিথির মতো বিশেষ উৎসবে ছাপ্পান্ন ভোগ বা অন্যান্য বিশেষ আয়োজন থাকে, তখন প্রসাদের ধরন ও বিতরণের পদ্ধতি ভিন্ন হতে পারে।
সেবায়িতদের সাথে যোগাযোগ: নির্দিষ্ট সময়ে ভোগ পাওয়া বা কোনো বিশেষ ভোগের বিস্তারিত জানতে মন্দিরের সেবায়েত বা ব্যবস্থাপকদের সাথে কথা বলাই সবচেয়ে ভালো উপায়।
** কোথায় যাবেন? নবদ্বীপে শ্রী মহাপ্রভু মন্দির, ধামেশ্বর মহাপ্রভু মন্দির বা যোগপীঠ মন্দিরে (মায়াপুর) গেলে আপনি মহাপ্রভুর দর্শন ও প্রসাদ পেতে পারেন।


