সংক্ষিপ্ত
মৃত্যুর পরে এই ঘটনা ঘটে মানুষের সঙ্গে! বেরিয়ে এল ভয়ঙ্কর তথ্য, ঠিক কী হয় মারা যাওয়ার পর?
মৃত্যুর পরে কী হয়, তা নিয়ে আজও চরম কৌতুহল রয়েছে মানুষের মনে। ঠিক কী হয়, মৃত্যুর পরে তা নিয়ে অনেকেরই অনেক রকম ধারণা রয়েছে মনে। গবেষণা থেকে বেরিয় এসেছে বহু তথ্য।
তবে এই বিষয়ে সামান্য হলেও রহস্য উদঘাটন করতে পেরেছেন পণ্ডিত শ্রীরাম আচার্য। গায়ত্রী পরিবারের প্রতিষ্ঠানা শ্রীরাম আচার্য এই নিয়ে একটি বিশেষ বইও লিখেছেন। এই বইতেই স্পষ্ট করে লেখা রয়েছে যে মৃত্যুর পরে শরীরের ঠিক কী হয়।
তিনি লিখেছেন, "শরীর ত্যাগ করার পর সাধারণত আত্মা কিছু সময়ের জন্য বিশ্রামে থাকে। তারপর সে নতুন জন্ম নেয়।"। এ ছাড়াও তিনি জানিয়েছেন যে অতি প্রাকৃত ঘটনা নিয়ে যারা পড়াশুনা করেন তাঁরাও একই কথা বলেন।
প্রাচীন ব্যাবিলন ও মিশরে মৃত্যর পরেও তাঁকে বিভিন্ন রকম প্রলেপ লাগিয়ে সংরক্ষণ করে রাখা হয় এবং মনে করা হতস ফের আত্মা দেহে ফিরে আসবে। কিন্তু এই কথার কোনও সত্যতা আজও পাওয়া যায়নি।
পরমহংস যোগানন্দের বিশ্ববিখ্যাত আত্মজীবনী যোগী কথামৃততে তাঁর আধ্যাত্মিক শিক্ষক শ্রী যুক্তেশ্বরজীর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেছেন "যে মৃত্যুর পর পৃথিবীর সমস্ত বাসিন্দাকে সূক্ষ্ম অবয়বে যেতে হবে। সেখান থেকে আধ্যাত্মিকভাবে উন্নত বাসিন্দাদের হিরণ্যলোকে পাঠানো হয়। যাঁরা সেখানে যায় তাঁরা বারবার পুনর্জন্ম থেকে মুক্তি পায়।"
এ ছাড়াও এমন বহু মানুষ রয়েছেন যাদের সামাণ্য কয়েক ঘণ্টার জন্য হৃস্পন্দন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পরে ফের তাঁদের হৃদস্পন্দন চালু হয়েছে, এমনও উদাহরণও কম নেই। কিন্তু এই সময়ে তাঁরা জীবিত ছিসেন না মৃত তা নিয়ে কোনও স্পষ্ট ধারনা পাওয়া যায়নি।
একইভাবে, কিছু যোগীর গ্রন্থে লেখা হয়েছে যে "মৃতের আত্মা স্থূল দেহ থেকে সূক্ষ্ম দেহ রূপে আলাদা হয়ে যায়। সূক্ষ্ম দেহটি স্থূল দেহের মতো একই গঠনের তবে এটি অণু দ্বারা গঠিত। এই অবস্থায় শারীরিক কোনও অস্তিত্ব নেই,অর্থাৎ শারীরিক কার্যকলাপ করতে পারত না৷ শরীরের অস্তিত্ব না থাকায় সব কেমন হালকা হয়ে গেছে। সে পাখির মতো বাতাসে উড়তে পারে। যে কোন জায়গায় আসতে পারে। স্থূল দেহ ত্যাগ করার পর, সে কিছুক্ষণ তার মৃতদেহের চারপাশে ঘোরাফেরা করে"
বৈজ্ঞানিক ভাবে বলতে গেলে মৃত্যুর পরে কোষের ডিএনএ নষ্ট হয়ে যায়, মৃত্যুর ঠিক আগে একে একে কাজ করা বন্ধ করে দেয়, শ্বাসপ্রক্রিয়া প্রাভাবিত হয়। অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। মরতে শুরু করে অভ্যন্তরীন কোষ। এই অবস্থাকে বলা হয় পয়েন্ট অফ নো রিটার্ন। চিকিৎসা বিজ্ঞানও এই পয়েন্ট অফ রিটার্নই আজও একটা বড় রকম রহস্যের ব্যাপার।