অনেকেরই অভ্যাস ফ্রিজের মাথায় টুকিটাকি জিনিস রাখা, আবার অনেকের বাড়িতে বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্রও থাকে ফ্রিজের ওপর। তবে এই অভ্যাস বাদ দিন আজই, নাহলে হতে পারে মারাত্মক বিপদ।
আজকের দিনের ব্যস্ত জীবনযাত্রায় ফ্রিজ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত রান্নাঘর বা ডাইনিং প্লেসে রাখা থাকে। তবে অনেকেরই অভ্যাস জায়গা না পেয়ে ফ্রিজের মাথায় কাগজপত্র, শো-পিস, এমনকি বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম - ইত্যাদি টুকিটাকি জিনিস রাখেন। কিন্তু জানেন কি, এই অভ্যাস থেকে হতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা? এমন অনেক জিনিস রয়েছে, যেগুলো কখনোই ফ্রিজের ওপর রাখা উচিত নয়।
রেফ্রিজারেটরের মাথায় কী কী রাখা উচিত নয়?
১। কভার বা কাপড় পাতার বিপদ
ফ্রিজের উপরের অংশে থাকে ভেন্ট বা গ্রিল, যা কম্প্রেসার থেকে নির্গত তাপ বাইরে বের করে দেয়। কাপড় বা প্লাস্টিক কভার দিলে এই তাপ বের হতে না পেরে ফ্রিজের অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। ফলে কম্প্রেসার দ্রুত নষ্ট হতে পারে।
২। বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি
কফি মেশিন, টোস্টার, হিটার, ব্লেন্ডার, মাইক্রোওয়েভ, রেডিয়ো ইত্যাদি বৈদ্যুতিক সামগ্রী ফ্রিজের কম্পনের কারণে নষ্ট হতে পারে। একই সঙ্গে শর্ট সার্কিট বা অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কাও থেকেই যায়। ফ্রিজের মাথা এমন কোনও যন্ত্র রাখার জায়গা নয় যা বিদ্যুৎচালিত।
৩। খাবারদাবার ও ফলমূল
ফ্রিজ থেকে বেরোনো গরম হাওয়া পাউরুটি, ফল, বা অন্যান্য সংরক্ষিত খাবার দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এতে খাদ্যবর্জ্য বাড়ে এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়।
৪। কাগজপত্র ও বই
বই, পত্রপত্রিকা বা অন্যান্য কাগজপত্র দাহ্য পদার্থ। ফ্রিজের গরম তাপ থেকে এগুলোতে আগুন ধরার আশঙ্কা থাকে।
৫। ফার্স্ট এইড বক্স বা ওষুধ
ওষুধ তাপ ও কম্পনের সংস্পর্শে দ্রুত তাদের কার্যকারিতা হারায়। বিশেষ করে তরল বা ইনসুলিন জাতীয় ওষুধগুলোর ক্ষেত্রে এই সতর্কতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৬। প্লাস্টিক কৌটো বা পাত্র
ফ্রিজের মাথা তেতে থাকে, তাপে প্লাস্টিক গলে যেতে পারে এবং তার থেকে রাসায়নিক নির্গত হয়ে আশপাশের খাবারে মিশে যেতে পারে। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে, বিশেষ করে যদি ওই কৌটোতে খাবার থাকে।
৭। জল ভর্তি পাত্র বা তরল খাবারের প্যাকেট
ফ্রিজের মাথায় জল বা তরল ভর্তি বোতল রাখলে হঠাৎ করে তা পড়ে গিয়ে শর্ট সার্কিট ঘটাতে পারে। তাছাড়া এতে সেই তরলে দ্রুত গুণমান হারাতে শুরু করে।
