সংক্ষিপ্ত
বলিরেখা ঢাকতে পার্লারে দিয়ে নানারকমের ট্রিটমেন্ট করলেও তা যেন সম্পূর্ণ দূর করা যায় না। কিন্তু খাওয়া-দাওয়ার মধ্যে সামান্য পরিবর্তন আনলেই এই বলিরেখার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
বছর ৩০ পেরোলেই ত্বকের শিথিলতা কমতে শুরু করে। শীতকালে এই সমস্যা যেন আরও বেড়ে যায়। অকালেই বলিরেখা যেন ত্বককে আর বুড়িটে করে দেয়। বয়স বাড়ার আগেই বলিরেখার চেহারাকে বয়সের তুলনায় বেশি দেখায়। বলিরেখা ঢাকতে পার্লারে দিয়ে নানারকমের ট্রিটমেন্ট করলেও তা যেন সম্পূর্ণ দূর করা যায় না। কিন্তু খাওয়া-দাওয়ার মধ্যে সামান্য পরিবর্তন আনলেই এই বলিরেখার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে কপালে ভাঁজ পড়ছে, চোখের চারপাশ গুলোও যেন আগের থেকে কুঁচকে গেছে। শীত পড়তে না পড়তেই এই সমস্যায় নাজেহাল অনেকেই। এছাড়াও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বলিরেখা একটা বিরাট সমস্যা। আর এই বলিরেখা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বয়সটা যেন একলাফে দ্বিগুণ বেড়ে যায়। তবে বলিরেখা নয়, ট্যানিং, পিগমেন্টেশন, ইনফেকশন সমস্ত রকম সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে এই সস্তার জিনিস। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে নিউট্রিশনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিত্যকার ডায়েট তালিকাতেও নজর রাখুন। বয়স বাড়লেও নিজেকে ফিট রাখা ভীষণ জরুরি।
শীতকাল আসা মানেই বাজারে বিট-গাজরে ঠাসা। স্যালাড থেকে শুরু করে নানা রকমের তরি-তরকারিতে বিট-গাজরের ব্যবহার করা হয়।কেবল খাবারের স্বাদ বাড়াতেই নয়, বিটের মধ্যে রয়েছে এমন কিছু গুণ রয়েছে যা ত্বকের জন্য কার্যকরী। বলিরেখা কমাতেও অত্যন্ত কার্যকর এই সব্জি। বিটের মধ্যে ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি ও আয়রন থাকে। রক্তে শর্করার পরিমান বেশি থাকলে বিট না খাওয়াই ভাল। ত্বক সুস্থ ও সতেজ রাখার জন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় বিট রাখুন। শরীরে আয়রনের ঘাটতিতে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য কমতে শুরু করে। যা থেকে দেখা দেবে বলিরেখা। বিটের মধ্যে ভিটামিন এ ও ক্যারোটিনয়েড থাকে। বিটের মধ্যে লুয়েটিন নামে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। বিটে ভিটামিস সি রয়েছে যা কোলজেন সিন্থেসিসের হার বাড়ায়। ত্বক টানটান রাখতে বিট সাহায্য করে। শরীরের প্রতিটি কোষে রক্ত পরিবহনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খনিজ আয়রণ।বাড়িতেই দই এবং মধু একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে ত্বকে লাগান। এতে ত্বক আর্দ্র থাকে। স্নানের পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন। পেট পরিস্কার থাকাটা সবার আগে জরুরি। প্রতিদিন ৩-৪ লিটার করে জল খান। এতে শরীর ডিহাইড্রেশন হয় না। প্রতিদিনের ডায়েটে ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমও বিশেষ জরুরি। তাই সবার আগে ঘুমের সময় ঠিক রাখুন। বেশি রাত পর্যন্ত জেগে থাকলেও বলিরেখা পড়ে। ত্বকের যত্ন নিলেই হল না, শরীরও সুস্থ রাখা দরকার। হাজারো কর্মব্যস্ততার মধ্যেও খানিকটা সময় বার করে যোগাসন কিংবা ব্যায়াম করুন।