Pet Rooms: পোষ্য রাখা মানেই শুধু খাওয়ানো বা খেলানো নয়—তাদের নিরাপদ ও আরামদায়ক ব্যক্তিগত ঘরেরও প্রয়োজন পড়ে। আজকাল ছোট অ্যাপার্টমেন্টে সেই জায়গা আলাদাভাবে না থাকলেও, আপনার টেবিলগুলিই এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে।
Pet Rooms: শহুরে জীবনে পায়রার খোপের মত ফ্ল্যাটে বাড়ির পোষ্যের জায়গার অভাব চরম। একটা ছোট কুকুর বা বিড়ালের জন্য আলাদা ঘর বানানোর জায়গায় বের করা কঠিন। কিন্তু আশ্চর্য হবেন যদি দেখেন ঘরের টেবিলটাই হতে পারে আপনার পোষ্যের জন্য আরামদায়ক ঘর। সামান্য একটু পরিকল্পনা, আর চাইলে আপনি নিজেই বানিয়ে দিতে পারেন আপনার টেবিলের নিচও আপনার পোষ্যের ব্যক্তিগত ও নিরাপদ আশ্রয়।
আসুন দেখেনি, কীভাবে ব্যবহার করতে পারবেন আপনার টেবিলগুলোকে
১। বই রাখার টেবিলের নিচে পোষ্যের ঘর
আপনার সন্তানের পড়ার টেবিল বা বই রাখার টেবিলের নীচের ফাঁকা জায়গাটি ব্যবহার করুন কুকুরের ছোট ঘর বানাতে।
কীভাবে বানাবেন?
টেবিলের নিচের অংশ কাঠ বা নরম প্লাস্টিকে ঘিরে দিন। ভিতরে মখমলি গদি বিছিয়ে দিন। পাশ দিয়ে বাতাস চলাচলের জন্য জানলার মতো ফাঁকা জায়গা রাখুন। চাইলে সামনে ছোট কাপড়ের পর্দা টানিয়ে দিন।
২। সাইড টেবিলের নীচে পোষ্যের ঘর
বেডরুম বা লিভিং রুমের সাইড টেবিলও ব্যবহার করা যেতে পারে ছোট পোষ্যের ঘর হিসেবে। তবে টেবিলের উপরে রাখা জিনিস এমন রাখুন যা ভঙ্গুর নয়। টেবিলের ভিতরে গদি বসান। নিচে ঢোকার জন্য পর্যাপ্ত খোলা জায়গা রাখুন। ছোট আকারের কুকুর বা বিড়ালের জন্য এই ঘর ভালো হবে। অনলাইনেই এমন জিনিস কিনতে পাওয়া যায়।
৩। পোষ্যের ঘরই হোক টেবিল
ল্যাব্রাডরের মতো বড় কুকুরের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা টেবিল-কাম-ঘর পাওয়া যায় অনলাইনেও। এছাড়া আপনি বানিয়েও নিতে পারেন নিচে।শক্ত কাঠ বা ধাতু দিয়ে বানানো, ধাতব রড দেওয়া জানলা এবং দরজাও থাকবে এতে। যে ল্যামিনেট বা রং ব্যবহার করা হবে, তা যেন কুকুরের জন্য বিষাক্ত না হয়। ভেতরে আরামদায়ক বিছানা পেতে দিন, ভালো হাওয়া চলাচলের জায়গা রাখলেই পোষ্যের প্রিয় হয়ে উঠবে এই ঘর।
৪। কর্ণার টেবিল
ঘরের এক কোণে ফিট করা যায় এমন কর্ণার টেবিল ব্যবহার করুন মাঝারি আকৃতির কুকুরের জন্য। বাড়তি কিছু না লাগিয়ে পোষ্যের ঘর তৈরি করে নিন। তবে খেয়াল রাখা দরকার, ঘেরা চৌহদ্দির মধ্যে যেন পোষ্য ঠিক ভাবে ঢুকতে, বেরোতে এবং থাকতে পারে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


