গরমে রোজ দই খাওয়া কি ভাল? স্বাস্থ্য ক্ষতি এড়াতে আসল সত্যিটা জেনে রাখুন
গরমে রোজ দই খাওয়া কি ভাল? স্বাস্থ্য ক্ষতি এড়াতে আসল সত্যিটা জেনে রাখুন

গরমকালে কেন রোজ দই খাওয়া উচিত নয়? দই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, এটা আমরা সবাই জানি। এতে আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। কিন্তু গরমকালে রোজ দই খাওয়া উচিত নয় বলে পুষ্টিবিদরা সতর্ক করেছেন। এর কারণ কী জানেন? এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
গরমকালে দই খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষ করে দই পেটকে সুস্থ ও ঠান্ডা রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দইতে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন বি-এর মতো অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। তবে, গরমে কারও কারও দই খেলে ত্বকের সমস্যা, হজমের সমস্যা, ব্রণ, শরীর গরম হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা যায়। এর কারণ কী জানেন?
গরমের তীব্র দাবদাহ থেকে বাঁচতে আমরা অনেকেই প্রতিদিন দই খাই। কারণ আমরা বিশ্বাস করি দই শরীরকে ঠান্ডা রাখে। কিন্তু আসলে তা নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে শরীর গরম করার উপাদান বেশি থাকে। এটা শুনে আপনার অবাক লাগতে পারে। তবে এটাই সত্যি। হ্যাঁ, আয়ুর্বেদে বলা হয়েছে গরমে দই খাওয়া ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুটোই প্রভাব ফেলে। অর্থাৎ এটি বাত, পিত্ত, কফের ওপর নির্ভর করে ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে।
আমরা মনে করি দইয়ের ঠান্ডা করার বৈশিষ্ট্য শরীরকে ঠান্ডা রাখে, তাই গরমে প্রতিদিন দই খাই। কিন্তু, আসলে দইয়ের টক স্বাদ শরীর গরম করার বৈশিষ্ট্যযুক্ত। এই বিষয়ে আমরা হয়তো জানি না। আরও, এই কারণেই দই হজম হতে বেশি সময় লাগে বলে আয়ুর্বেদ বলছে।
দইতে বাত কম এবং পিত্ত ও কফ বেশি থাকার কারণে গরমকালে দই খেলে শরীর গরম হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, অনেকে মনে করেন দই শরীরকে ঠান্ডা করে, তাই বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলেন। এই কারণে তাদের ব্রণ ও অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়।
গরমকালে প্রতিদিন দই না খেয়ে ঘোল করে খেতে পারেন। এতে কোনও সমস্যা হবে না। বিশেষ করে ঘোল-এর সঙ্গে সামান্য গোলমরিচ, জিরা ও লবণ মিশিয়ে খেলে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। গরমে কেন ঘোল খাওয়া উচিত, কারণ দইয়ের সঙ্গে জল মেশালে এর গরম করার বৈশিষ্ট্য কমে যায় এবং ঠান্ডা ভাব বাড়ে। তাই গরমে প্রতিদিন ঘোল খেলেও কোনও সমস্যা নেই। এটি আপনার শরীরকে সুস্থ ও ঠান্ডা রাখবে।
আয়ুর্বেদ অনুসারে, দইয়ের সঙ্গে অন্য কোনও ফল মিশিয়ে খাওয়া উচিত নয়। তেমনই, দই কখনও গরম করা উচিত নয়। এছাড়াও, যাদের ওজন বেশি, তাদের দই খাওয়া উচিত নয়।

