রান্নার পরে অবশিষ্ট তেল পুনরায় ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হলেও, এটি প্রদীপ জ্বালানো, লোহার জিনিসপত্রে মরিচা রোধ, কাঠের আসবাবপত্র পালিশ, বাগানে পোকামাকড় দমন, জৈব জ্বালানি তৈরির মতো বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।
রান্নার পরে অবশিষ্ট তেল পুনরায় ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে, কারণ এতে ট্রান্স ফ্যাট এবং জারণের ফলে ক্ষতিকারক উপাদান তৈরি হয়। তাই অবশিষ্ট কালো তেল সঠিকভাবে ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ।
১. প্রদীপ জ্বালানোর জন্য:
অবশিষ্ট তেল মাটির প্রদীপ বা লোনাটার প্রদীপ জ্বালাতে ব্যবহার করা যেতে পারে। বিশেষ করে এটি পূজা-অর্চনা বা ঘরের পরিবেশ পরিশুদ্ধ করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
২. লোহার জিনিসপত্রে মরিচা রোধের জন্য:
কাঠের হাতিয়ার, লোহার জিনিসপত্র, তালা, সাইকেল চেইন, দরজার হুক-কব্জায় মরিচা পড়া রোধ করতে কালো তেলের পাতলা স্তর লাগানো যেতে পারে।
৩. সিঁড়ি এবং লোহার গেট মসৃণ করার জন্য:
লোহার গেট বা তালা যদি আটকে যায়, তাহলে তাতে অল্প তেল লাগিয়ে হালকা ঘষলে তা খুলে যায়।
৪. পুরনো কাঠের আসবাবপত্র এবং দরজা পালিশ করার জন্য:
পুরনো কাঠের আসবাবপত্র এবং দরজা মোছার জন্য অবশিষ্ট তেল ব্যবহার করলে তাতে চকচকে ভাব আসে এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়।
৫. বাগানে (পোকামাকড় দমন):
বাগানের গাছে যদি পোকার আক্রমণ হয়, তাহলে কালো তেলে পানি এবং সাবান মিশিয়ে স্প্রে করলে পোকার উপদ্রব কমে এবং এটি প্রাকৃতিক কীটনাশক হিসেবে কাজ করে।
৬. কুকারের ঢাকনা এবং হুকে লাগানোর জন্য:
কুকারের ঢাকনার রিং যদি শক্ত হয়ে যায়, তাহলে তাতে অল্প তেল লাগালে সহজে লাগে। দরজা বা আলমারির হুকে তেল লাগালে মরিচা পড়বে না।
৭. জৈব জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার:
কিছু কিছু জায়গায় অবশিষ্ট তেল জৈব জ্বালানি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়, যা যানবাহনেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
কী করা উচিত নয়?
- অবশিষ্ট তেল পুনরায় রান্নায় ব্যবহার করবেন না, কারণ এতে ট্রান্স ফ্যাট তৈরি হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক।
- তেল ড্রেনে বা মাটিতে ফেলবেন না, কারণ এতে দূষণ এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
