সকালে খালি পায়ে ঘাসে হাঁটলে শুধু আরামই নয়, যা যা হয়, জানলে সত্যিই চমকে যেতে হবে…
ভোরবেলাকে ধ্যান এবং শারীরিক কার্যকলাপের জন্য সর্বোত্তম সময় হিসেবে ধরা হয়। যদি আপনি সকালে শিশির-ভেজা ঘাসে খালি পায়ে হাঁটার চেষ্টা করেন তবে এটি শুধু একটি স্বস্তি দেবে না বরং স্বাস্থ্যেরও অনেক উপকার রয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সকালে খালি পায়ে হাঁটার কিছু আশ্চর্যজনক উপকারিতা এবং কতক্ষণ হাঁটা উচিত?
সকালে খালি পায়ে ঘাসে চলার অদ্ভুত উপকারিতা:
দৃষ্টি তীক্ষ্ণ হয়: পায়ের তলায় কিছু এক্যুপ্রেশার বিন্দু থাকে, যা চোখের সাথে সংযুক্ত। ঘাসে চলার ফলে এই বিন্দুগুলিতে চাপ পড়ে, ফলে চোখের পেশীগুলি আরাম পায় এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়। এছাড়াও, সবুজ রঙ দেখার ফলে চোখে আরাম লাগে।
মানসিক চাপ কমে, ঘুম ভাল হয়: সকালে খালি পায়ে চলতে সময় স্ট্রেস হরমোনের স্তর কমে যায়, ফলে আপনি আরাম বোধ করেন এবং এর ফলে ঘুমও ভালো হয়। এছাড়াও, খালি পায়ে ঘাসে চলা ঘুমের গুণগত মান উন্নত করে।
রক্ত সঞ্চার উন্নতি: খালি পায়ে হাঁটার ফলে পায়ের শিরায় রক্ত সঞ্চার উন্নত হয়, যা শরীরের সব অংশে অক্সিজেন ও পুষ্টির প্রবাহ সঠিকভাবে চলমান রাখতে সহায়ক। এটি পায়ে ব্যথা, অবশতা এবং সংকোচনের মতো সমস্যাও দূর করতে পারে।
ইমিউনিটি শক্তিশালী করে: নিয়মিত খালি পায়ে হাঁটলে শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়, ফলে আপনি রোগের বিরুদ্ধে লড়তে আরও সক্ষম হন।
ভিটামিন ডি পাওয়া যায়: সকালে একটু রোদে হাঁটার মাধ্যমে শরীর প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন ডি পায়, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য, ইমিউনিটির জন্য এবং মুডের জন্য প্রয়োজনীয়। খালি পায়ে হাঁটলে ক্ষুদ্র পেশী ও টেনডনকে শক্তিশালী করে, ফলে পায়ের স্থিতিশীলতা ও ভারসাম্য উন্নত হয়।
কতক্ষণ হাঁটা উচিত? বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে খালি পায়ে ঘাসের উপর ১৫থেকে ৩০ মিনিট হাঁটা অত্যন্ত উপযোগী হতে পারে। যদি আপনার কাছে বেশী সময় থাকে, তবে আপনি এটিকে ১ ঘণ্টা পর্যন্ত বাড়িয়ে নিতে পারেন। সকালে যখন ঘাসে শিশিরের বিন্দু থাকে এবং সূর্যের আলো হালকা থাকে, এই সময় হাঁটার জন্য সবচেয়ে ভাল। এটি আপনাকে তাজা এবং সতেজ অনুভব করায়।


