সংক্ষিপ্ত

ডায়েট আর ওয়ার্ক আউট করেও যেন ওজন কমছে না। বিভিন্ন টোটকার কাছে হার মেনে গেছেন। কিন্তু এটা জানেন কি এইভাবে সত্যিই ওজন কমানো সম্ভব নয়, ওজন কমানোর জন্য ডায়েট আর ওয়ার্ক আউটই কিন্তু সমাধান নয়।

সুস্থ থাকার জন্য যেমন স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রয়োজন হয়, তেমনি খাওয়া দাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চারও কোনও বিকল্প নেই। মেদ কমাতে কিংবা সুস্থ থাকতে আমরা অনেকেই শরীরচর্চা করে থাকি। কিন্তু শরীরচর্চার আসল সময় কখন, এটা আমরা অনেকেই জানি না। কোন সময়ে শরীরচর্চা করলে ভাল ফল পাওয়া যায়, এটা কিন্তু সবার আগে জানা দরকার। সময়ের মধ্যে সবকিছু করে ওঠা কারোর পক্ষে সবসময় সম্ভব হয় না। কিন্তু নিয়ম মেনে শরীরচর্চা করলে অনেক ভাল ফল পাওয়া যায়।

গবেষণায় জানা গেছে, বেলা ১ টা থেকে ৪ টের মধ্যে ব্যায়াম করলে ভাল ফল পাওয়া যায়। এই সময় শরীর খুব গরম থাকে। এর পাশাপাশি হার্টরেট ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এই সময় ব্যায়াম করলে ক্যালোরি অনেক খরচ বেশি হয়। ওজন নিয়ে ব্যায়াম করলে বেশি টেস্টোস্টেরন তৈরি হয়। পেশির বৃদ্ধি ও শক্তি বাড়ানোর জন্য যার বিশেষ প্রয়োজন। দেহের বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তা ক্রমশ বাড়ছে। অনেকেই আছেন কাছের চাপের জন্য দুপুরে বা বিকেলে শরীরচর্চা করার সময় পান না। তখন তারা অফিস থেকে ফিরে বা নিজের প্রয়োজনীয় কাজ মিটিয়ে সন্ধ্যের সময় শরীরচর্চা করেন। সন্ধ্যে ৭ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত যারা ব্যায়াম করবেন তারা বেশি হার্ডকোর ব্যায়াম করবেন না, এতে হার্টের সমস্যা হতে পারে। রাতের বেলায় ফ্রি হ্যান্ড, হালকা ব্যায়াম করুন।

 

 

ডায়েট আর ওয়ার্ক আউট করেও যেন ওজন কমছে না। বিভিন্ন টোটকার কাছে হার মেনে গেছেন। কিন্তু এটা জানেন কি এইভাবে সত্যিই ওজন কমানো সম্ভব নয়, ওজন কমানোর জন্য ডায়েট আর ওয়ার্ক আউটই কিন্তু সমাধান নয়। সারাদিন কী কাজ করা হচ্ছে, তার মধ্যে কতক্ষণ বিশ্রাম এই সবকিছুর ওপরেই নির্ভর করে ওজন বাড়া কমা। সারাদিনের কাজের ব্যস্ততার মধ্যে খিদে পেয়েছে কিনা সেটাই যেন সবার আগে ভুলে যাই আমরা। যার ফলে লাঞ্চে অতিরিক্ত খাওয়া হয়ে যায়। এই অভ্যেসের কারণে রোগা হওয়া খুবই সমস্যার। নিজের ব্যাগে হেলথি স্ন্যাকস রাখুন, যা অল্প খেলেই পেট ভরবে। খিদে পেলেই পিৎজা, বার্গার এই সব না ভুললে ওজন কমা কখনওই সম্ভব নয়। আর ওজন বাড়ার একটা বড় কারণ হল ফাস্ট ফুড। ওজন কমাতে চাইলে এইদিকে খেয়াল রাখতে হবে সবার আগে।