হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে কী করবেন? হৃদয় ভাল রাখার গোপন ফর্মুলা জেনে নিন

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়লেও এখন ২০, ৩০ ও ৪০ বছর বয়সী তরুণদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হার্ট অ্যাটাকের ক্রমবর্ধমান ঘটনা তরুণদের স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ুর জন্য উল্লেখযোগ্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা সচেতনতা ও সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে কমিয়ে আনা সম্ভব। তরুণদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান হার্ট অ্যাটাক কিছু জীবনযাত্রার পরিবর্তন করে প্রশমিত করা যেতে পারে। প্রাথমিক লক্ষণগুলো বুঝে এবং কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস অবলম্বন করলে হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করা যায়।

হার্ট অ্যাটাক এড়াতে কী করবেন? হার্ট-স্বাস্থ্যকর খাবার খান - হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে, পুষ্টিকর আইটেম গ্রহণ করুন। আপনার ডায়েটে ফলমূল, শাকসবজি, গোটা শস্য, শুকনো ফল এবং চর্বিযুক্ত প্রোটিন অন্তর্ভুক্ত করুন। ট্রান্স ফ্যাট ও চিনি থেকে দূরে থাকুন। সোডিয়াম গ্রহণ হ্রাস করুন, যা রক্তচাপ বাড়ায়।

শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকুন - হৃদয়কে সুস্থ রাখার জন্য, শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা অপরিহার্য। প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে 150 মিনিটের মাঝারি অনুশীলনের লক্ষ্য রাখুন, যার মধ্যে দ্রুত হাঁটাচলা, সাঁতার কাটা বা সাইকেল চালানো অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। প্রতিদিন সিঁড়ি দিয়ে উঠতে ভুলবেন না।

ধূমপান এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন - যুবকদের মধ্যে ধূমপান এবং তামাকের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ধূমপান হৃৎপিণ্ডের পক্ষে বিপজ্জনক কারণ এটি রক্তনালীগুলির ক্ষতি করে, যার ফলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায় এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি থাকে। একইভাবে অতিরিক্ত মদ্যপানও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

মানসিক চাপ কমান- মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করুন। স্ট্রেস শরীরে রোগ বাড়ায় এবং রক্তচাপ বাড়ায়। মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস বা যোগব্যায়াম অনুশীলন করুন। প্রচুর ঘুম পান এবং আপনার শখগুলি অনুসরণ করুন।

সময়ে সময়ে চেক-আপ করুন - আপনার নিয়মিত আপনার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত। এটি উচ্চ কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে। প্রাথমিক সনাক্তকরণ এই রোগগুলির দ্রুত নিয়ন্ত্রণের দিকে পরিচালিত করতে পারে। পরিবারে হৃদরোগের ইতিহাস থাকলে প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতা।

একটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন - হৃদয় সুস্থ রাখার জন্য একটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখাও প্রয়োজনীয়। অতিরিক্ত ওজন হৃৎপিণ্ডের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে এবং উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের মতো অবস্থার ঝুঁকি বাড়ায়। তাই ওজন সবসময় নিয়ন্ত্রণে রাখুন।