ভারতে প্রতি বছর ১৪ নভেম্বর পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর জন্মদিনে শিশু দিবস পালিত হয়। ১৯৬৪ সালে নেহরুর প্রয়াণের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যার আগে পর্যন্ত রাষ্ট্রসংঘের ঘোষণা অনুসারে ২০ নভেম্বর দিনটি পালিত হত।

প্রতি বছর ১৪ নভেম্বর দিনটি পালিত হয় শিশু দিবস হিসেবে। ১৮৮৯ সালের এই দিনটি জন্ম নিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু। প্রতিটি স্কুলে এই দিনটি পড়াশোনার বদলে নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। কোথাও বাচ্চাদের এই দিন পিকনিকে নিয়ে যায়। তেমনই বাচ্চাদের বিভিন্ন ভাবে আনন্দ দেওয়া হয়।

জানা যায়, ১৯৫৪ সালের ২০ নভেম্বর দিনটিকে শিশু দিবস হিসেবে পালনের জন্য ঘোষণা করেছিল রাষ্ট্রসংঘ। সেই ঘোষণা অনুসারে, নেহরুর মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ২০ নভেম্বর দিনটি পালিত হত। ১৯৬৪ লালে জওহরলাল নেহরুর প্রয়াণের পর সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় প্রতি বছর ১৪ নভেম্বর পালিত হবে দিনটি শিশু দিবস হিসেবে।

তবে, বিভিন্ন দেশে শিশু দিবস পালিত হয় ভিন্ন ভিন্ন দিনে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে জুনের দ্বিতীয় রবিবার পালিত হয় শিশু দিবস। পাকিস্তানে শিশু দিবস পালিত হয় ১ জুলাই। চিনে ৪ এপ্রিল পালিত হয় দিনটি। জাপানে ৫ মে পালিত হয় শিশু দিবস। পশ্চিম জার্মানিতে ২০ সেপ্টেম্বর পালিত হয় দিনটি। এই শিশু দিবস পালনের উদ্দেশ্য একটাই, দেশের শিশুদের অধিকার ও তাদের ভবিষ্যত সুনিশ্চিত করা এবং সেই সম্পর্কে সচেতনতার বার্তা দেওয়া।

দেশের ভবিষ্যত গঠনে শিশুরাই একদিন কাণ্ডারি হয়ে উঠবে। তাই শিশুদের গুরুত্ব দিয়েই পালিত হয় দিনটি। এছাড়াও শিশুদের সুরক্ষা, অধিকার সম্পর্কে মানুষকে আরও সচেতন করার বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয় এই দিন। এই বিশেষ দিনে তারা যাতে সঠিক শিক্ষা, সংস্কৃতিতে বড় হয়ে উঠতে পারে তার পাঠ দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে, দেশের শিশুদের অধিকার ও তাদের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করা ও সে সম্পর্কে সচেতনতার বার্তা সকলকে কাছে পৌঁছে দেওয়ার স্বার্থে পালিত হয় দিনটি।