সংক্ষিপ্ত
দুই সন্তানের মধ্যে ১০ বছরের ব্যবধান রাখার সুবিধা সম্পর্কে জানুন। উন্নত লালন-পালন, মানসম্পন্ন সময় এবং বড় সন্তানের দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি পায়। WHO এর গাইডলাইন সম্পর্কেও জানুন।
সম্পর্ক বিভাগ: একই বয়সী বাচ্চাদের একসাথে লালন-পালন করা একজন মায়ের জন্য রোলার কোস্টার রাইডের মতো। একজন বাচ্চাকে সামলাতে সামলাতে অন্যজনকেও সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে হয়। আজকাল ব্যস্ত জীবনযাত্রার কারণে দুই সন্তানের মধ্যে ২ বা ৫ বছর নয় বরং ১০ বছরের ব্যবধানও দেখা যাচ্ছে। আসুন জেনে নিই দ্বিতীয় সন্তানের ৫ থেকে ১০ বছরের ব্যবধান হলে কী কী সুবিধা হতে পারে।
দ্বিতীয় সন্তানের লালন-পালনে সময় পাওয়া যায়
দুই সন্তানের মধ্যে প্রায় ১০ বছরের ব্যবধান রাখলে আপনি দ্বিতীয় সন্তানের লালন-পালনে পূর্ণ সময় দিতে পারবেন। আপনার প্রথম সন্তান যখন স্কুলে যাবে তখন আপনি আপনার সম্পূর্ণ সময় দ্বিতীয় সন্তানের দেখাশোনায় দিতে পারবেন। প্রথম সন্তান নিজেই খাবে এবং নিজেই স্কুলের জন্য প্রস্তুত হবে। এই সব বিষয় আপনাকে অনেক সাহায্য করবে।
বড় সন্তান নিজের দায়িত্ব নেয়
যতক্ষণ আপনি একক সন্তানের মা ছিলেন ততক্ষণ সন্তান সম্পূর্ণভাবে আপনার উপর নির্ভরশীল ছিল। দ্বিতীয় সন্তান আসার পর প্রথম সন্তান তার দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠে। ৯ থেকে ১০ বছরের বাচ্চা তার ছোটখাটো কাজ নিজেই করতে শুরু করে।
মানসম্পন্ন সময় পাওয়া যায়
প্রথম সন্তানের জন্মের পর বাবা-মায়ের মানসম্পন্ন সময় যেন হারিয়ে যায়। যদি দুই সন্তানের মধ্যে ৫ থেকে ১০ বছরের ব্যবধান থাকে তবে বাবা-মা মানসম্পন্ন সময় কাটাতে পারবেন। কিছু বছরের ব্যবধানে দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিলে দীর্ঘ সময় সন্তানদের লালন-পালনে ব্যয় হবে।
বিঃদ্রঃ: WHO এর মতে, দুই সন্তানের মধ্যে কমপক্ষে ২৪ মাসের ব্যবধান থাকা উচিত। যদি আপনি কোনও বিশেষ কারণে ২ বছরে দ্বিতীয় সন্তান না চান তবে কিছু সময় অপেক্ষা করতে পারেন। বেশি বয়সে সন্তান জন্ম দেওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।