মেয়েদের লালন-পালনে বাবার ভূমিকা অপরিসীম। তাদেরকে আত্মনির্ভর, সবল এবং আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে বাবার কিছু বিশেষ শিক্ষা দরকার, যা তাদের জীবন বদলে দিতে পারে।
মেয়েরা বাবার রাজকন্যা, কিন্তু তাদেরকে শক্তিশালী যোদ্ধা হিসেবে গড়ে তোলাও জরুরি। একজন বাবা তার মেয়েকে এমন আত্মবিশ্বাস দিতে পারেন যা দিয়ে সে পৃথিবীর যেকোনো চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে পারে। বাবা এবং মেয়ের বন্ধন পৃথিবীর সবচেয়ে আলাদা এবং বিশেষ, তাই এমন অনেক কিছু আছে যা মেয়েরা তাদের বাবার কাছ থেকে মা বা অন্য কোন সম্পর্কের তুলনায় আরও ভালভাবে শিখতে এবং বুঝতে পারে। তাই আমরা সব মেয়ের বাবার জন্য ৫ টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে বলছি, যা প্রতিটি বাবার তার মেয়েকে অবশ্যই শেখানো উচিত—
স্বপ্ন পূরণে কারও অনুমতির প্রয়োজন নেই
- সমাজ, আত্মীয়স্বজন বা অন্য কারও চিন্তা আপনার স্বপ্নকে থামাতে পারে না।
- মেয়েকে শেখান যে সে যেন তার স্বপ্ন পূরণের জন্য কারও অনুমতি নেওয়ার পরিবর্তে নিজের উপর বিশ্বাস রাখে।
- তাকে বোঝান যে তার ইচ্ছা এবং স্বপ্ন অন্য কারও মতোই গুরুত্বপূর্ণ।
পড়াশোনার গুরুত্ব বোঝান – শেখার কোন বয়স নেই
- শিক্ষা কেবল ডিগ্রি নেওয়ার মাধ্যম নয়, এটি এমন একটি অস্ত্র যা জীবনকে গড়ে তুলতে পারে।
- মেয়েকে শেখান যেখান থেকেই কিছু শেখার সুযোগ পায়, সেখান থেকে শেখা উচিত।
- তাকে এটা অনুভব করান যে যে কোন বয়সেই হোক, শেখার আগ্রহ বজায় রাখা জরুরি।
অস্বস্তিকর বিষয়গুলোর জন্য ‘না’ বলার অধিকার
- মেয়েকে শেখান যে যদি কোন কিছু তাকে অস্বস্তিকর মনে হয়, তাহলে তাকে বাধ্য হয়ে তা করার দরকার নেই।
- সে কোন সম্পর্কেই হোক, কর্মক্ষেত্রেই হোক বা সামাজিক চাপ, তাকে বুঝতে হবে যে তার অনুভূতি এবং সম্মতি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
- ‘না’ বলা দুর্বলতা নয়, বরং নিজের সুরক্ষা এবং সম্মানের প্রতীক
আত্মনির্ভরশীল হওয়া – আর্থিক এবং মানসিকভাবে

- মেয়েকে কেবল আত্মনির্ভরই নয়, আর্থিক এবং মানসিকভাবেও শক্তিশালী করে তোলা জরুরি।
- তাকে শেখান যে নিজের খরচ নিজে বহন করা এবং আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা প্রতিটি মহিলার থাকা উচিত।
- সাথে সাথে মানসিক নির্ভরতা থেকে বাঁচতে তাকে বোঝান যে সুখী থাকার জন্য তাকে অন্য কারও উপর নির্ভর করার দরকার নেই।
আত্মপ্রেম, আত্মবিশ্বাস এবং আত্ম-যত্ন
- নিজেকে ভালবাসা, নিজের উপর বিশ্বাস রাখা এবং নিজের যত্ন নেওয়া—এই তিনটি বিষয় মেয়েদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- মেয়েদের শেখান যে অন্যদের খুশি করার চেয়ে আগে নিজেকে খুশি রাখা জরুরি।
- তাদের বোঝান যে যে কোন পরিস্থিতিতেই নিজেকে দুর্বল ভাববে না এবং নিজের আত্মসম্মানের সাথে কখনও আপস করবে না।
