এই নিবন্ধটি শিশুদের শুধুমাত্র পড়াশোনার বাইরেও একটি সুস্থ ও সফল জীবনযাপনের জন্য পাঁচটি জরুরি অভ্যাসের উপর আলোকপাত করে। শারীরিক কার্যকলাপ, পুষ্টিকর খাবার, পরিচ্ছন্নতা এবং দাঁতের যত্নসহ এই অভ্যাসগুলি তাদের সারাজীবনের ভিত্তি তৈরি করে।

বাবা-মায়েরা প্রায়ই তাদের সন্তানদের শুধু পড়াশোনায় ভালো করার জন্য উৎসাহিত করেন। কিন্তু একটি শিশুর সাফল্য শুধু বইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। তাকে সুস্থ, সক্রিয় এবং আত্মনির্ভরশীল করে তোলার জন্য ছোটবেলা থেকেই কিছু ভালো অভ্যাস শেখানো অত্যন্ত জরুরি। ছোট ছোট বিষয় তাদের সারাজীবনের ওপর প্রভাব ফেলে। এখানে আমরা আপনাকে এমন ৫টি জরুরি অভ্যাসের কথা বলছি, যা আপনার সন্তানের দৈনন্দিন রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

সব বয়সে সক্রিয় থাকা

শিশুদের ছোটবেলা থেকেই সক্রিয় থাকতে শেখান। খেলাধুলা, সাইক্লিং, নাচ বা যেকোনো শারীরিক কার্যকলাপে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করুন। ৩-৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য দিনে ৩ ঘণ্টা অ্যাক্টিভিটি করা উচিত। ৬-১৭ বছর বয়সী শিশুদের জন্য দিনে এক ঘণ্টা অ্যাক্টিভিটি জরুরি। এতে তাদের হাড় মজবুত হয়, মস্তিষ্ক তীক্ষ্ণ হয় এবং তারা একটি সুস্থ জীবনযাপনের দিকে এগিয়ে যায়।

পুষ্টির সঙ্গে কোনও আপস নয়

শিশুদের খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করা অত্যন্ত জরুরি। জাঙ্ক ফুড থেকে তাদের দূরে রাখুন এবং দুধ, ফল, সবজি, মাছ ও প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন। সঠিক পুষ্টি তাদের শারীরিক এবং মানসিক বিকাশের ভিত্তি তৈরি করে। তাদের লবণ, চিনি এবং প্যাকেটজাত খাবার থেকে দূরে রাখুন।

‘ক্লিন প্লেট’ নিয়ম এড়িয়ে চলুন

অনেক বাবা-মা শিশুদের বলেন যে প্লেটে রাখা সমস্ত খাবার শেষ করা জরুরি। কিন্তু এই অভ্যাস তাদের অতিরিক্ত খাওয়ার দিকে ঠেলে দিতে পারে। শিশুদের শেখান যে, যতটা খিদে পেয়েছে ততটাই খেতে এবং পেট ভরে গেলে খাওয়া বন্ধ করতে। শিশুরা যদি খেতে না চায়, তবে তাদের জোর করে খাওয়ানো উচিত নয়। শিশুদের মধ্যে ধীরে ধীরে বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

হাত ধোয়ার অভ্যাস তৈরি করুন

স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার সবচেয়ে মৌলিক অভ্যাস হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। শিশুদের প্রতিবার খাওয়ার আগে এবং বাইরে থেকে আসার পর হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এটি তাদের সংক্রমণ, রোগ এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করবে।

দাঁতের স্বাস্থ্যের যত্ন নিন

শিশুদের ব্রাশ করা এবং দাঁতের পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব সম্পর্কে ছোটবেলা থেকেই শেখান। দিনে দুবার ব্রাশ করার অভ্যাস তাদের দাঁত ও মাড়িকে সুস্থ রাখবে এবং ভবিষ্যতে দাঁতের সমস্যা থেকে বাঁচাবে। প্রতি ৬ মাস অন্তর শিশুদের দাঁতের চেকআপ অবশ্যই করান।