শিশুদের খাবার থেকে দ্রুত ওজন বাড়ছে? কীভাবে সমাধান করবেন? রইল টিপস
অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের খাদ্যাভ্যাসের প্রতি মনোযোগী হতে হবে এবং তাদের স্বাস্থ্যকর খাবার দিতে হবে। বাড়িতে রান্না করা খাবার খাওয়ানো থেকে শুরু করে বাইরের খাবার সীমিত করা পর্যন্ত, অভিভাবকদের সন্তানদের খাদ্যাভ্যাসের প্রতি বিশেষ মনোযোগী হওয়া উচিত।

আজকাল শিশুদের মধ্যে স্থূলতার সমস্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলছে।
অনেক অভিভাবক মনে করেন যে তাদের সন্তানরা মোটা হলেই তারা সুস্থ, এবং তাদের অতিরিক্ত খাবার খাওয়ান। কিন্তু স্থূলতা শিশুদের বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করে এবং ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য সমস্যার দিকে ঠেলে দেয়। এর প্রধান কারণ হল খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রা।
আজকাল শিশুরা স্বাস্থ্যকর খাবারের চেয়ে জাঙ্ক ফুড বেশি পছন্দ করে। এর সাথে শারীরিক পরিশ্রমের অভাবও তাদেরকে অলস করে তোলে। ফলস্বরূপ, তারা অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি করে।
অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের খাদ্যাভ্যাসের প্রতি মনোযোগী হতে হবে এবং তাদের স্বাস্থ্যকর খাবার সরবরাহ করতে হবে। বাড়িতে রান্না করা খাবার খাওয়ানো থেকে শুরু করে বাইরের খাবার সীমিত করা পর্যন্ত, অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের খাদ্যাভ্যাসের প্রতি বিশেষ মনোযোগী হওয়া উচিত। এছাড়াও, শিশুদের খেলাধুলা এবং শারীরিক কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শিশুদের সক্রিয় জীবনযাপনে সহায়তা করার জন্য, তাদের ক্রিকেট, ফুটবল বা সাইক্লিংয়ের মতো বহিরঙ্গন খেলায় অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করুন। যতটা সম্ভব টিভি, মোবাইল ইত্যাদি থেকে দূরে রাখুন। আপনার সন্তানের খাদ্য এবং ব্যায়ামের নিয়মিত পরিকল্পনা করুন যাতে তারা সুস্থ থাকে।
শিশুদের পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করাও তাদের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে।অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টনের মতো বহিরঙ্গন খেলায় অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করা উচিত। এটি শিশুদের শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতির পাশাপাশি তাদের মানসিক বিকাশেও সহায়তা করে।
মোবাইল, টিভি দেখা থেকে বিরত রাখতে শিশুদের এই খেলাগুলিতে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করুন। এর সাথে সাথে, বাড়িতে নাচ, ব্যায়ামের মতো শারীরিক কার্যকলাপও করা যেতে পারে, যা ওজন কমাতে এবং শিশুদের সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে।স্বাস্থ্যকর খাবারের গুরুত্ব শিশুদের ফল, শাকসবজি, শস্য এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের গুরুত্ব বোঝানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের বাড়িতে রান্না করা, তাজা এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে উৎসাহিত করা উচিত। জাঙ্ক ফুড, কোল্ড ড্রিংকস এবং অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবারের ক্ষতিকর দিকগুলি সম্পর্কে শিশুদের জানান। এটি শিশুদের স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে এবং স্থূলতার সমস্যা কমাতে সাহায্য করবে। শিশুদের খাদ্যতালিকায় তাজা ফল, সালাদ, দই এবং বাদাম অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করুন।
স্ক্রিনের সময় সীমিত করুন শিশুদের টিভি, কম্পিউটার এবং মোবাইল ফোন ব্যবহার দিনে কয়েক ঘন্টার মধ্যে সীমাবদ্ধ করুন। স্ক্রিনের সময় কমাতে, শিশুদের পেইন্টিং, সংগীত এবং হস্তশিল্পের মতো সৃজনশীল কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করুন।
এছাড়াও, শিশুদের পার্কে বাইরে খেলা, সাইকেল চালানো বা পরিবারের সাথে হাঁটার মতো শারীরিক কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করুন। এটি শিশুদের শারীরিকভাবে সুস্থ রাখার পাশাপাশি মানসিকভাবে সক্রিয় এবং আনন্দিত রাখবে।
খোলামেলা কথা বলুন এবং সমর্থন করুন অভিভাবকদের সর্বদা তাদের সন্তানদের সাথে খোলামেলা কথা বলা উচিত এবং তাদের অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করা উচিত। যদি শিশুরা তাদের ওজন নিয়ে চিন্তিত বা অস্বস্তি বোধ করে, তাদের সমর্থন করুন এবং ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করুন। যখন শিশুরা তাদের ওজন নিয়ে খোলামেলা কথা বলে, তাদের মানসিক চাপ কমে।
স্বাস্থ্যকর নাস্তা সরবরাহ করুন আপনার সন্তানদের নিয়মিত স্বাস্থ্যকর নাস্তা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। তাদের ভাল শক্তি যোগাতে বিনস, ব্রোকলি, মটরশুটি, হোল গ্রেইন পাস্তা, ওটসের মতো পুষ্টিকর খাবার তাদের নাস্তায় অন্তর্ভুক্ত করুন। তাজা ফল যেমন কলা, আপেল, আঙ্গুর বা মৌসুমি ফল তাদের নাস্তায় যোগ করুন।

