Parenting Rule: '৯' মিনিট শিশুর দিনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সময়কালে পড়ে। ঘুম থেকে ওঠার পর পরই '৩' মিনিট, স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পর '৩' মিনিট এবং ঘুমানোর ঠিক আগে '৩' মিনিট।
Parenting Rule: 9 Minute Parenting Rule' বা ৯ মিনিটের parenting নিয়মটি হলো দিনে মাত্র ৯ মিনিট আপনার সন্তানের সঙ্গে গুণগত সময় কাটানো, যা তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়: ৩ মিনিট ঘুম থেকে ওঠার পর, ৩ মিনিট স্কুল বা বাইরে থেকে ফেরার পর এবং ৩ মিনিট রাতে ঘুমানোর আগে, যেখানে মনোযোগসহকারে তাদের কথা শোনা ও তাদের সাথে সংযোগ স্থাপন করা হয়, যা তাদের মানসিক বিকাশ ও আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে বলে শিশু মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন, এবং এটি '3-3-3 নিয়ম' নামেও পরিচিত।
৯ মিনিটের parenting নিয়ম (3-3-3 Rule) বিস্তারিত জানুন :
১. ঘুম থেকে ওঠার পর (প্রথম ৩ মিনিট): সকালে ঘুম ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে সন্তানের দিকে সম্পূর্ণ মনোযোগ দিন। তাদের জড়িয়ে ধরুন, তাদের দিনের শুরুটা শুভকামনা দিয়ে করুন। এই সময়টায় তাদের সঙ্গে ছোট খাটো কথা বলুন, তাদের স্বপ্ন বা দিনের পরিকল্পনা নিয়ে আগ্রহ দেখান।
লক্ষ্য: সারাদিনের জন্য ইতিবাচক মানসিকতা তৈরি করা এবং তাদের ভালোবাসা ও নিরাপত্তা অনুভব করানো।
২. স্কুল/বাইরে থেকে ফেরার পর (দ্বিতীয় ৩ মিনিট): সন্তান স্কুল বা খেলাধুলা থেকে ফেরার পর প্রথম ৩ মিনিট তাদের সঙ্গে কাটান। তারা সারাদিন কী করলো, তাদের বন্ধু-বান্ধব বা নতুন কোনো অভিজ্ঞতা হলো কিনা, তা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। মোবাইল বা অন্য কাজ থেকে দূরে থাকুন, পুরোপুরি তাদের কথায় মনোযোগী হন। লক্ষ্য: তাদের সারাদিনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার সুযোগ করে দেওয়া এবং তাদের প্রতি আপনার আগ্রহ বোঝানো।
৩. রাতে ঘুমানোর আগে (শেষ ৩ মিনিট): রাতে শোবার আগে শেষ ৩ মিনিট তাদের সঙ্গে কাটান। তারা কী নিয়ে চিন্তিত, তাদের কোনো ভয় বা সমস্যা আছে কিনা, তা জানতে চান। একসাথে বই পড়া, গল্প করা বা শান্তভাবে বসে থাকা যেতে পারে। লক্ষ্য: দিনের শেষে মানসিক চাপ কমাতে এবং তাদের নিরাপত্তা ও ভালোবাসার অনুভূতি দিয়ে ঘুম পাড়ানো।
এই নিয়মের সুবিধা: মানসিক বিকাশ: সন্তানের মানসিক ও আবেগিক বিকাশ উন্নত হয়।
আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি: তারা নিজেদের মূল্যবান মনে করে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
দৃঢ় বন্ধন: বাবা-মা ও সন্তানের মধ্যেকার সম্পর্ক আরও মজবুত হয়।
আচরণগত উন্নতি: ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হওয়ায় তাদের আচরণে উন্নতি হয়।
কর্মজীবী বাবা-মায়ের জন্য উপযোগী: ব্যস্ততার মধ্যেও অল্প সময়ে সন্তানের সাথে গভীর সংযোগ স্থাপন করা যায়। এই সহজ নিয়মটি মেনে চললে অল্প সময়েও সন্তানের জীবনে বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


