সংক্ষিপ্ত

বাচ্চার কান্নার কারণ খুঁজে বের করা অনেকটা কঠিন কাজের মতো। কখনো সন্ধ্যায় কাঁদতে শুরু করে, কখনো সকালে আবার কখনো মাঝরাতে কাঁদতে থাকে।

 

শিশুর কান্না মাঝে মাঝে মায়ের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ ছোট শিশুরা তাদের দুঃখ কষ্ট প্রকাশ করতে পারে না, শুধুমাত্র কান্নার মাধ্যমে তাদের সমস্যা জানায়। তবে তাদের কান্নার কারণ খুঁজে বের করা অনেকটা কঠিন কাজের মতো। কখনো সন্ধ্যায় কাঁদতে শুরু করে, কখনো সকালে আবার কখনো মাঝরাতে কাঁদতে থাকে।

এমতাবস্থায় মায়েরা মনে করেন শিশুটি হয়ত তার ন্যাপি নষ্ট করে ফেলেছে, তাই সে কাঁদছে। তবে, কখনও কখনও শিশুর অস্বস্তি ভেজা ন্যাপি বা শরীরের যে কোনও অংশে ব্যথার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। আরও অনেক কারণ আছে, যার কারণে শিশুরা প্রায়ই কাঁদতে শুরু করে।

বাচ্চা কেন কাঁদে?

১) যদি আপনার শিশু প্রতিদিন একই সময়ে বেশি কাঁদে, বিশেষ করে সন্ধ্যায়, তাহলে তার কোলিক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এই রোগে, শিশুর পেটে একটি শক্তিশালী সংকোচন হয়, যার কারণে সে ক্রমাগত কাঁদে এবং কিছু খেতে বা পান করতে প্রস্তুত হয় না। এই রোগটি ৩ মাস পর্যন্ত বাচ্চাদের অনেক কষ্ট দেয়। যদিও ৩ মাস পরে এটি আপনা আপনি সেরে যায়।

২) বাচ্চাদের কান্নার আরেকটি কারণ হতে পারে তারা যে পোশাক পরে। শিশু যদি খুব বেশি আঁটসাঁট বা অস্বস্তিকর জামাকাপড় পরে থাকে, তাহলে তা শরীরে অস্বস্তি বা কাঁটা পড়ার কারণ হতে পারে। যদি গ্রীষ্মকাল হয়, তাহলে শিশুকে হালকা ও নরম পোশাক পরান। শীতকালে তাদের খুব টাইট পোশাক পরানো এড়িয়ে চলুন।

৩) যেহেতু শিশু মায়ের দুধ পান করে তাই মায়ের ভুল খাবারের কারণে তাকে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। মা যদি পেটে গ্যাস সৃষ্টিকারী বা মশলাদার খাবার খান, তাহলে শিশুও এতে আক্রান্ত হতে পারে। মায়ের পাশাপাশি শিশুও বদহজম, পেটে ব্যথা ও গ্যাসে ভুগতে পারে।

৪) যে কোনও সময় বাচ্চাদের খুব বেশি খাওয়ানো থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত দুধ পান করা বা কিছু খাওয়া শিশুর স্বাস্থ্যেরও অবনতি ঘটাতে পারে। অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে তাদের পেট ফুলতে শুরু করে, যার কারণে তারা অস্বস্তি বোধ করে এবং তারপর তারা কাঁদতে শুরু করে।

৫) অনেক সময় হাতের ঝাঁকুনি বা হঠাৎ ঘাড় ঝুলে যাওয়ার কারণে শিশুর হাড় ভেঙ্গে যায়। যার কারণে তারা কান্নাকাটি শুরু করে। তাই তাদের ধরার সময় সর্বদা সতর্কতা অবলম্বন করুন।